ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি: সকাল থেকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে, 'জলপাইগুড়িতে আছি না অস্ট্রেলিয়ায়? বোঝাই মুশকিল।' অনেকের কাছে এই দুটি বাক্য অচেনা হলেও শুক্রবার রাত থেকে চেনা বাক্য হয়ে উঠেছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িবাষীর। কারণ ডুয়ার্সে দেখা মিলেছে ক্যাঙারুর (kangaroo)। এই প্রাণী মূলত থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানকার আবহাওয়া ও আমাদের দেশের আবহাওয়ার মধ্যে তফাৎ থাকলেও পাচারকারীদের অত্যাচারে আজকাল সবকিছুই সম্ভব। গজলডোবা এখন বেশ জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট হাব (tourist hub)। এখানে বহু মানুষ আসেন। তবে ক্যাঙারুও যে চলে আসবে, তা হয়ত কল্পনার বাইরেই ছিল। বন দপ্তরের আশঙ্কা, নানা কারণে ক্যাঙারু পাচার হওয়ার পথে ছিল। 'ভোরের আলো' সংলগ্ন এলাকায় দুটি ক্যাঙারু উদ্ধার করে বনদপ্তর। এর কিছু সময় পর শিলিগুড়ির ফাড়াবাড়ি নেপালীবস্তি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে আরেকটি ক্যাঙারু। বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও (DFO) হরিকৃষ্ণণ বলেন, 'এটি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা খতিয়ে দেখছি বিষয়টিকে।' এদিকে রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বলেন, 'গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা অভিযানে নামি। শেখান থেকেই এই দুটি ক্যাঙারু উদ্ধার হয়।' জানা গিয়েছে, গজলডোবায় নাকা চেকিংয়ের সময় দেখা যায় এই দুটি ক্যাঙারুকে। তখন সেগুলিকে ফেলে পালায় পাচারকারীরা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ক্যাঙারু দুটিকে বেঙ্গল সাফারিতে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন পড়লে আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ক্যাঙারু দুটিকে দেখতে ভিড় জমে মানুষের। কিন্তু সকলের মোবাইলের ফ্ল্যাশ (flash) এবং চলাচল দেখে তারাও ছটফট করতে থাকে। এদিকে শিলিগুড়ি থেকেও উদ্ধার হয় একটি ক্যাঙারু। ফাড়াবাড়ি লাগোয়া এলাকায় হঠাৎ খুব কুকুরের চিৎকার শোনা যায়। বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। এরপর দেখেন একটি ক্যাঙারুকে ঘিরে রয়েছে কুকুরের দল। কুকুরগুলিকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন স্থানীয়রাই। পরবর্তীতে বনদপ্তরকে খবর দেওয়া হলে সেটিকে বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যান বনকর্মীরা। তবে এর সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে বনকর্মীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri, Siliguri