#জলপাইগুড়ি: কোথাও চোরাই কাঠ উদ্ধার, তো কোথাও আঁশ পাচারের ছক ভেঙে ফেলা। লাটাগুড়ি বনদফরের মুকুটে জুড়ল ফের আর এক পালক। এবার ফাঁস হল প্যাঙ্গোলিনের (pangolin) আঁশ পাচারের ছক।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রেতা সেজে প্যাঙ্গোলিনের (Pangolin) আঁশ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে দু'জন। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার আঁশ উদ্ধার হয়। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, "প্যাঙ্গোলিনের (Pangolin)আঁশ কিনতে চাই"! এই বলেই ক্রেতা সেজে ফোন করেছিলেন বন দফতরের (WB Forest Department) কর্তারা। বন কর্তাদের দাবি, মালবাজারে দেখা করতে বলে পাচারকারীরা। সেখানেই রীতিমত হাতেনাতে ধরে ফেলে অভিযুক্তদের। লাটাগুড়ি বনবিভাগের কর্তারা সঙ্গে সঙ্গেই পাচারকারীদের ধরে ফেলে আটক করেন। বনদফতর (WB Forest Deparment) সূত্রে খবর, লাটাগুড়ি (Lataguri) বনবিভাগের কর্তারা (Forest Department) গোপন সূত্রে খবর পান যে মালবাজারের (Malbazar) ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক (National Highway) দিয়ে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার হবে। তখন ক্রেতা সেজেই ফোন করা হয় পাচারকারীদের। রীতিমত ফন্দি আটেন আধিকারিকরা। এরপরেই ফল মেলে হাতেনাতে। বিক্রি করতে এসেই বনবিভাগের কর্তাদের জালে ফেঁসে আটক হয়ে পড়ে দুজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম আনন্দ বারলা এবং নোয়েল ভ্যেংড়া। আনন্দ, মালবাজারের রানিচেরা চা (Ranichera Tea Garden) বাগানের বাসিন্দা। নোয়েলের বাড়ি নয়া সায়লি চা বাগানে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ভুটান থেকে দার্জিলিং হয়ে দুবাইয়ে (dubai) পাচার করার পরিকল্পনা ছিল এই দুষ্কৃতীদের। তবে ছদ্মবেশে বনকর্মীরা আসায়, সেই ছক ফাঁস হয়ে ধরা দেয় পাচারকারীরা। এই পাচারকারীদের মূলে কেউ আছে কি না, কোথা থেকেই বা যোগযোগ, সবকিছু খতিয়ে দেখছে বনবিভাগ ও পুলিশ। জলপাইগুড়ি জেলার আশেপাশে এমন কোনও পাচারের খবর আছে কি না, তাও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। Vaskar Chakrabortyনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Forest Department, Jalpaiguri, Lataguri, Pangolin