#শিলিগুড়ি: টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের জলভরা সেই স্বর্গ। আহা, শুনেই কেমন জিভে জল আসছে না? আসবে নাই বা কেন, ফুচকা তো সবার প্রিয়। গরমকাল পড়তে না পড়তেই ফুচকার দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ভিড় পড়ুয়াদের। এই ভিড় আট থেকে আশি সকলের। এদিকে সকলের আবদার মেটাতে 'ফুচকাকাকু' চটজলদি বানিয়ে ফেলছেন বিভিন্ন চাট, ফুচকা, মিশালি।
সূর্যনগর মাঠ হোক কিংবা শিলিগুড়ির বিখ্যাত আড্ডাস্থল বাঘাযতীন পার্ক। সব জায়গাতেই দেখা মিলছে ফুচকার ঠেলা। সেখানে 'ফুচকাকাকু'-কে ঘিরে চলছে বিভিন্ন আবদার। 'আরেকটু ঝাল কাকু!', 'মিষ্টি চাটনি দাও', 'মিশাল বানিয়ে দাও', 'বেশি করে আলু দাও', এসব যেন রোজকার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই 'ফুচকাকাকুর'। একই ছবি ধরা পড়ল শিলিগুড়ির অদূরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে রবীন্দ্র ভানু মঞ্চের পাশে যেন একগুচ্ছ হাসিমুখ। সারাদিনের পড়াশোনা, প্রজেক্টের চাপ, পরীক্ষার টেনশন, সব দূর করবে যেন ওই সুস্বাদু টকজল ভরা ফুচকা।
এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ফুচকাকাকুর সঙ্গে কথা বললাম আমরা, নিউজ ১৮ লোকাল। তিনি বলেন, "এখানে বরাবরই গরমকালে ভিড় বাড়ত। তবে মাঝে করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিক্রির সংখ্যা নেমে যায়। এখন সব খুলে গিয়েছে। তাই বিক্রিও দেদার। এখন তো সবে গরম পড়া শুরু করেছে। এরপর ভিড় আরও বাড়বে।"
কী কী ধরণের ফুচকা পাওয়া যায়? জিজ্ঞেস করতেই তাঁর উত্তর, "সাধারণ টক জল দেওয়া ফুচকা থেকে শুরু করে দই ফুচকা, চাট, মিশালি, মিষ্টি ফুচকা পাওয়া যায়। এর মধ্যেই কেউ চাইলে ঝাল বা মিষ্টি দিয়ে দিই।" বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা সাহানা চক্রবর্তীর কথায়, "ফুচকা অত্যন্ত কম সময়ে এবং কম খরচে খাওয়ার এক জিনিস। একটু পরিষ্কার পরিবেশ থাকলেই অনেকে এই সুস্বাদ্য স্ন্যাকস বেছে নেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকাও সাশ্রয় হয়। এদিকে স্বাদের সঙ্গে নো কমপ্রোমাইজ (no compromise)।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।