ভাস্কর চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ি: শ্মশানে বস্তাবন্দী দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে হেলাপাকড়ি স্থানীয় শ্মশানে। এদিন সকালে শ্মশানঘাটে কালিমন্দিরের নির্মাণ কাজ চলছিল। সেই সময় নির্মাণ শ্রমিকরা সেই এলাকা থেকে পচা দুর্গন্ধ পান। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে তৎপর হতেই কালিমন্দিরের অদূরে বাঁশঝাড়ের নিচে একটি বস্তা লক্ষ্য করেন। সেখান থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতে দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। তাঁরা অনুমান করেন বস্তার মধ্যে হয়ত মানুষের পচাগলা দেহ রয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিত্যক্ত বস্তাটিকে খুলতেই দেখেন বস্তায় রয়েছে কুকুরের মরদেহ। এদিকে কুকুরের মৃতদেহ মাটিতে না পুঁতে শ্মশানে বস্তাবন্দী করে ফেলে রাখার ঘটনাকে নিন্দা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক গাড়িচালক বলেন, 'ওখানে গিয়ে দেখলাম বস্তার মধ্যে একটি কুকুর মরে রয়েছে। যেই করেছে এই কাজটি, ঠিক করেনি। শ্মশানে এভাবে বস্তাবন্দী করে রাখা উচিৎ হয়নি।' অনেকের মতামত, কুকুরটি মারা যাওয়ার পর তাকে কবর না দিয়ে এভাবে ফেলে রাখার কোনও মানে হয় না। এটা আর কিছুই নয়, অমানবিকতার পরিচয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে ধুপগুড়ি এলাকায় এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে কুকুরকে ধর্ষণ করার অভিযোগ সামনে আসে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়ায়। অমানবিকতার চরমে বলে মনে করছেন স্থানীয় থেকে শুরু করে সকলে। এদিকে, এই ঘটনায় সেই প্রৌঢ়ের মানসিক সমস্যাও কিছুটা দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এদিনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে, কুকুরটির সঙ্গে কোনও অমানবিক আচরণ করা হয়নি তো!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri, Maynaguri