#ময়নাগুড়ি: আজ থেকে কয়েকদশক আগেকার কথা। তখন, এখনকার মতন অত্যাধুনিক যানবাহন ছিল না। দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা হেঁটে কিংবা গরুর গাড়িতে করে উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ময়নাগুড়ির জল্পেশ মেলায় আসত। এখনও সেই কথা মনে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রবীণরা। জানা গেছে, মন্দিরে পুজো দিয়ে, জল্পেশ মেলায় আগত পুণ্যার্থীরা দই চিড়া খেতেন। তখন জল্পেশ মেলার একটা অন্যতম জৌলুস ছিল এই দই-চিড়া। জল্পেশ মেলায় এসে দই চিড়া খায়নি এমন ব্যাক্তির সন্ধান খুবই কম মিলত। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় জল্পেশের দই চিড়ার জৌলুসে এখন ভাটার টান। এর ফলে জল্পেশ মেলার ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ফাস্টফুড এবং বিভিন্ন রকমারি খাবারের প্রতিযোগিতায় ক্রমশ হারাতে বসেছে জল্পেশের ঐতিহাসিক খাবার দই চিড়া।
এখনও জল্পেশ মেলায় দই চিঁড়া পাওয়া গেলেও হিরিকটা খুবই কম। এর ফলে বংশ পরম্পরায় জল্পেশ মেলায় দই চিড়ার দোকান দিয়ে আসা বিক্রেতাদের যেমন কপাল ভাঁজ, ঠিক তেমনি মেলার ঐতিহ্য হারিয়ে যাওযায় মেলার 'ঐতিহ্য বিলুপ্তি' বলে মনে করছেন প্রবীণরা। তাদের কথায়, জল্পেশ মেলায় আসলে দই চিড়া না খেলে, মেলায় আসাই মনে হয় না। তবুও পুরানো ঐতিহ্য বজায় রেখে জল্পেশ মেলায় দই চিড়া খেতে দেখা যায় গ্রামের প্রবীণদের। তবে সেটাও হাতে গোনা যায় বলে দাবি করেছেন দই চিড়া বিক্রেতারা।
এই নিয়ে দই চিড়া খেতে থাকা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা অলকা বর্মনের কথায়, 'সেই ছেলেবেলা থেকে জল্পেশ মেলায় আসছি। পূজা শেষে দই চিড়া খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।' তবে এখানকার দই চিড়ার যে অন্যরকম স্বাদ রয়েছে তা স্বীকার করে নেন বছর তিরিশের যুবক রনজিৎ রায়। রণজিৎ রায়ের কথায়, 'শুনেছি আগে দই চিড়ার দোকানে লাইন পড়ে যেত। এখন তা না হলেও এখানকার দই চিঁড়ার যে অন্যরকম স্বাদ রয়েছে তা অস্বীকার করতে পারবে না কেউ।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri, Maynaguri, Siliguri