পূর্ব বর্ধমান: চাষিদের সুগন্ধি ধানচাষে উৎসাহ জোগাচ্ছে কৃষি আধিকারিকরা। আমন ধান চাষের পাশপাশি গোবিন্দভোগ ধান চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে কৃষি দফতর। টানা বৃষ্টিতে জমিতে জমেছিল জল। জমিতে লাগানো বীজধান নষ্ট হয়েছে। যার ফলে কপালে হাত পড়েছিল পূর্ব বর্ধমানের চাষীদের। তবে চিন্তা দূর করতে ইতিমধ্যেই চাষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সুগন্ধি ধানের বীজ। যা সুগন্ধি ধান চাষে উৎসাহ যোগাচ্ছে চাষীদের। জানা গিয়েছে, চলতি মরসুমে কাটোয়া মহকুমায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ ধান চাষ করার লক্ষ্য নিয়েছে কৃষি দফতর।
কোথায় কত পরিমাণ গোবিন্দভোগ ধান চাষ হবে এবছর: কাটোয়া ১ নং এ প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ চাষের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে চাষ হয়েছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে। এদিকে কাটোয়া ২- এ চাষ হবে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে হবে চাষ। কেতুগ্রাম ১ -এ ২০০ হেক্টর জমিতে হবে ধান চাষ। মঙ্গলকোটেও দুশো হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হবে।
কৃষিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হয় পূর্ব বর্ধমানে। এছাড়াও অনেক সুগন্ধি ধানের চাষ হয় এখানে। বাজারে গোবন্দিভোগ চালের চাহিদা অনেক, দামও বেশি। অন্য ধানের পাশাপাশি সুগন্ধি ধানের চাষে লাভ হবে দ্বিগুণ। এছাড়াও এই ধান ঝড়, জলে ঝরে যাওয়ার ভয় নেই বললেই চলে। ফলে সব দিক থেকেই লাভবান হবেন চাষিরা।চাষীদের একাংশ বলছেন, এটা প্রথম নয় সুগন্ধি ধান চাষ আমরা করি। তবে এখন বিশেষ করে গোবিন্দভোগ ধান চাষের নজর দিচ্ছি। কারণ এতে আমাদেরই লাভ হবে। আর ঝড় বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হওয়ার ভয় পেতে হবে না আমাদের।
উল্লেখ্য, এখন চাষিরা বীজতলা তৈরিতে ব্যাস্ত। প্রতিবছর এমনই পরিস্থিতি হয় তবে এবছর আমন ধানের পাশাপাশি সুগন্ধি গোবিন্দভোগ ধানের বীজতলাতেও ব্যাস্ত চাষিরা। এরইমধ্যে যারা প্রথম গোবিন্দভোগ ধান চাষ করলেন, দ্বিগুণ লাভের আসায় দিন গুনছেন তাঁরা।
Malobika Biswas
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture, Bardhaman, Farmer