শিলিগুড়ি: আমরা সবাই এমন একটি দিনের অপেক্ষায় আছি, যেদিন আমরা প্রাণ খুলে শহরে দাপিয়ে বেড়াতে পারব। আমরা প্রাণ খুলে শহরের অলিগলিতে আড্ডা দিতে পারব। শিলিগুড়ি শহরে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিকে ফিরছে। কমছে দৈনিক সংক্রমণ। এতে স্বস্তিতে শহরবাসী। কিন্তু মাস্ক বিক্রি করে যাঁদের সংসার চলে, তাঁরা পড়েছেন বিপাকে।
অনেকের কাছে মাস্ক মজুদকরে রাখা রয়েছে। ফলে তেমন কেউ মাস্ক কিনতে আসছেন না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে মাস্কের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে লাভের মুখ খুব কম ব্যবসায়ীরা দেখেছেন। বড় মার্কেটে মাস্ক বিক্রি নেই বললেই চলে।
ক্রেতা অনির্বাণ দত্ত বলেন, 'প্রথম ঢেউয়ের পর অনেকেই মাস্ক মজুদ করে রেখেছিলেন। তাছাড়া মাস্কের চাহিদা তেমন নেই। কেউ রুমাল ব্যবহার করছেন তো কেউ ওড়না। মাস্কের ব্যবহার থাকলেও চাহিদা আগের মতো নেই। কিন্তু আমরা বারবার সবাইকে সতর্ক করে চলেছি মাস্ক পরানিয়ে। দোকানের ব্যবসায়ীদেরও বলছি মাস্ক ছাড়া কাউকে জিনিস বিক্রি করবেন না। তাঁরাও তাই করছেন।'
অনির্বাণবাবু বলেন, 'চিকিৎসা ব্যাবস্থা এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। অক্সিজেনের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে সবাই। এই পরিস্থিতিতে সচেতন না হলে, আমরা ঘন অন্ধকারে পড়ব। লকডাউন পর্ব শুরুর আগে থেকেই তৎপর হয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। তবে এর সঙ্গে মাস্ক ব্যবসায়ীদেরও একটা ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। অনেকেই মাস্ক বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেছেন। সেখানে অনেকেই লোকসানের মুখে পড়েছেন। বেশকিছু দিন মাস্ক কেনার হিড়িক পড়েছিল। এখন সেই উৎসাহ নেই।'
মাস্ক বিক্রেতা সুবীর পাল জানান, এখন মাস্ক কিনতে তেমন কেউ আসছে না। অনেক ধরণের মাস্ক সাজিয়ে রাখা আছে দোকানে। কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, 'লকডাউনের আগে বিক্রি মোটামুটি ছিল। কিন্তু লকডাউনের পর সেটাও নেই। এখন অনেকে মাস্কের দোকান দেওয়া শুরু করেছে। তাতে মার্কেটে চাহিদা কম থাকলেও দোকান প্রচুর রয়েছে। কিন্তু ক্রেতা কম থাকায় আমাদের ক্ষতির মুখেই পড়তে হচ্ছে।'
ভাস্কর চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mask, North Bengal, Siliguri