#বীরভূম : গত ১৪ এপ্রিল বীরভূমের সিউড়ির পার্শ্ববর্তী বেশকিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়৷ এতটা শিলাবৃষ্টি এর আগে ওই এলাকায় কখনও হয়নি৷ এবার শিলাবৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের জমির। মাঠের ধান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফসল নষ্ট হয় মাত্র কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে। এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। শুধু এবারই নয়, গত মরশুমে একাধিকবার নিম্নচাপ এবং সেই সব নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কৃষকদের মাঠের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল৷ এবার যখন ভালো চাষের আশায় তাঁরা বসেছিলেন, সেই সময় এমন শিলাবৃষ্টি। যা বীরভূমের চাষিদের একাংশের কাছে পাকা ধানে মই দেওয়ার মত৷
১৪ তারিখের শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন বীরভূমের সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সাজিনা, ভূর্কুনা, চিনপাই সহ বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। এর পাশাপাশি সিউড়ি দু'নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ইন্দ্রগাছা, নিরিশে, মালিগ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার চাষিদেরও একই করুণ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।এইসব এলাকার চাষিরা ১০-১২ বিঘা জমিতে চাষ করে থাকেন। কিন্তু এক ধাক্কায় এত ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার কারণে তাদের কি হবে এই নিয়েই উঠতে থাকে প্রশ্ন। এরপরই প্রশাসন আশ্বাস দেন ক্ষতিপূরণের৷
কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, বাংলা শস্য বিমার আওতায় যে সকল চাষিদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে তারাই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। কিন্তু যারা বাংলা শস্য বিমার আওতাভুক্ত নন তারা পাচ্ছেন না৷ এর সত্যতা স্বীকার করেছেন উত্তরে হাটজানবাজার কিষাণ মান্ডির এডিএ মধুরিমা মন্ডল৷ তিনি জানিয়েছেন, 'যাদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে তারাই ক্ষতিপূরণ পাবেন। ইতিমধ্যেই আমরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।'
অন্যদিকে, বাংলা শস্য বিমার আওতায় নাম না থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না, এমনটা জানতে পেরে অসহায় বোধ করছেন অনেক চাষি৷ কারণ তাদের দাবি, "অনেক চাষি রয়েছেন যারা এই বিমার আওতায় নিজেদের নাম এখনও নথিভুক্ত করতে পারেননি৷ কিন্তু আমাদেরও তো চাষ করতে প্রচুর খরচ হয়েছে।" সার থেকে শুরু করে শ্রমিক খরচ, যেভাবে তাদের বহন করতে হয়েছে তাতে তাদের এখন নিদারুণ অবস্থা৷
Madhab Dasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।