বীরভূম : প্রদীপ (Earthen Lamp) জ্বললেই চারদিক আলোকিত হয়। তবে প্রদীপের এই আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়লেও প্রদীপের নিচে তা পৌঁছাতে পারে না। যে কারণে প্রদীপের নিচে থেকে যায় অন্ধকার। ঠিক একই ভাবে দিন দিন বৈদ্যুতিক লাইটের (Electric Light) দাপটে প্রদীপ সহ মাটির জিনিসপত্র চাহিদা কমে যাওয়ায় মৃৎশিল্পীদের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। তবে দীপাবলীর (Deepavali) আগে মৃৎশিল্পীদের (Potter) জীবনে নেমে আসে অন্ধকার দূর করতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর বার্তা দিচ্ছেন বীরভূমের সাধারণ মানুষেরা (Birbhum)।
আরও পড়ুন Anubrata Mandal| Special Puja: ১৬৫ কেজি কাঠ, পাঁচ টিন ঘি! কঙ্কালীতলায় মহাযজ্ঞ অনুব্রত মণ্ডলের
বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃৎশিল্পী (potters) জিতেন্দ্র পন্ডিত প্রতিবছর দীপাবলীর আগে মাটির প্রদীপ তৈরি করে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের প্রদীপ তিনি তৈরি করেন। আর সেই সকল প্রদীপ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় ১০০ পিস বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু বৈদ্যুতিক লাইটের রমরমা বাজারে এই মাটির প্রদীপের কদর দিন দিন কমতে শুরু করেছে। তবে তা হলেও তিনি রীতি মেনে একপ্রকার শখেই প্রতিবছর এইভাবে মাটির প্রদীপ তৈরি করে থাকেন।
মৃৎশিল্পী জিতেন্দ্র পন্ডিত জানিয়েছেন, "স্থানীয় জায়গায় এখন মাটি পাওয়া যাচ্ছে না। দূর থেকে মাটি আনার খরচ, তারপর কয়লা এবং অন্যান্য জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের মুখ দেখা যায় না এই প্রদীপ বিক্রি করে। তবে তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ যাতে মাটির প্রদীপ জ্বালাতে পারেন দীপাবলিতে তার জন্য প্রদীপ তৈরি করে থাকি। আর বৈদ্যুতিক লাইটের রমরমা বাজারে প্রদীপের বিক্রিও তলানিতে।"
আরও পড়ুন Kali Puja 2021| Sound Pollution: কালীপুজোয় শব্দ দূষণ রুখতে যা ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন...
এর পাশাপাশি তিনি অনুরোধ করেছেন, "বৈদ্যুতিক লাইট (Electric Light) যেমন লোকেরা কিনছেন বা জ্বালাচ্ছেন তারা জ্বালান, তবে এর সঙ্গে সঙ্গে মাটির প্রদীপ যদি একটু বেশি করে কেনেন তাহলে দীপাবলিতে আমাদের ছেলে মেয়েদের মুখেও হাসি ফুটতে পারে।"
একইভাবে দুবরাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীতমা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "দীপাবলি কথার মধ্যেই রয়েছে প্রদীপ। তবে আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি প্রদীপের রোশনা হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বৈদ্যুতিক বাতির প্রচলন বেশি। তবে প্রদীপের আলোয় মায়ের মুখখানা যেমন সুন্দর লাগে, প্রদীপের আলোয় জগত যেমন মোহময়ী হয়ে ওঠে তেমনি কিন্তু বৈদ্যুতিক আলোতে হয় না।"
আরও পড়ুন বন্ধ প্রাইমারি স্কুল, দিশা দেখাচ্ছে সিউড়ির কোভিড নৈশ বিদ্যালয়
এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, "আমরা চাইব আমাদের মৃৎশিল্প বেঁচে থাকুক। আমাদের মৃৎশিল্প জয়ী হোক এবং দীপাবলিতে ভারত তথা বাংলার ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলে উঠুক।"
মাধব দাস
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kali puja 2021, South bengal news