#আলিপুরদুয়ারঃ মানুষের সংস্পর্শে এলে, মা আর ফিরিয়ে নেয় না সদ্যোজাতকে। বাঘেদের সমাজে এই রীতিই প্রচলিত। তাই চা বাগানে রেখে যাওয়া দুই চিতা বাঘের শাবককে মানুষের ছোঁয়া বাঁচিয়ে, তাদের মায়ের আসবার অপেক্ষায় দিন গুনছিল বন দফতর ও চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এত ছোট দুই শাবককে উদ্ধার করে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গেলেও তাদের প্রাণ বাঁচানো ছিল প্রায় অসম্ভব। অবশেষে মাতৃত্বের টানে জঙ্গল ছেড়ে ফের শাবক দুটির কাছে চলে আসে মা চিতা বাঘ। মায়ের কোলও ফিরে পেয়ে যেন প্রাণে বাঁচলো দুই সদ্যজাত লেপার্ড শাবক।
বন বিভাগের হামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জ কে কালচিনির ব্লকের চুয়াপাড়া চা বাগানের চার নম্বর সেকশনে, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে দু'টি চিতাবাঘের বাচ্চা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের বনকর্মীরা। সেখানে গিয়ে বন কর্মীরা উপলব্ধি করেন, একবার ওই শাবক দু'টির গায়ে মানুষের ছোঁয়া লাগলে, আর তাদের ফেরাবে না মা চিতাবাঘ। মা চিতাবাঘকে ফেরানো নিয়ে শুরু হয় তোড়জোড়, ওই এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজেও মা চিতা বাঘের হদিশ পায়নি বন দফতর। এরপর এলাকাটিকে ঘিরে ফেলে সেখানে বসানো হয় ট্র্যাপ ক্যামেরা, যাতে ওই বাচ্চা দুটির সমস্ত কর্মকান্ড ধরা পড়ে ক্যামেরায়।
শেষ পর্যন্ত ওই এলাকায় মানুষের অনুপস্থিতির সুযোগে শাবক দু'টির কাছে ফিরে আসে মা লেপার্ডটি। শাবকদের দুধ খাইয়ে মুখে তুলে দুই শাবককে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে চলে যায় মা।ওই ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে বন দফতরের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে।বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অতিরিক্ত ক্ষেত্র অধিকর্তা পল্লব মুখার্জী বলেন, "আমরা খুব সতর্ক ছিলাম যাতে মানুষের ছোঁয়া শাবক গুলোর গায়ে না লাগে, এবং আমাদের ভাবনা মতোই মা চিতা এসে শাবক দুটিকে নিয়ে যায়।" মা চিতাবাঘটিকে ফেরানো নিয়ে যাবতীয় তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় বন বিভাগের কর্মীদের মধ্যে। অবশেষে মা চিতাবাঘ শাবক দুটিকে গ্রহণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ায় খুশি বনকর্মী সহ এলাকার পরিবেশ প্রেমীরা।
Dependra Lahiriনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar, Leopard