একটু-আধটু এক্সারসাইজ করে ঘাম ঝরালে যে শরীরের গাড়ি দিব্যি তরতর করে এগিয়ে চলে, এ কথা সবারই কম-বেশি জানা আছে। কিছু মানুষ বাদ দিয়ে মোটামুটি সকলেই টুকটাক ব্যায়াম করেনও। বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসচেতন মানুষই নয় সকালের দিকে বা বিকেলের দিকে হাঁটতে যান। পরিবেশ-বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই দু'টি সময়েই বাতাসে দূষণের পরিমাণ থাকে সব চেয়ে বেশি। বিশেষ করে শীতকালে বায়ুতে দূষিত কণার পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেকেই অবশ্য হালফিলে ফিল্টার লাগানো ফেস মাস্ক পরেই এক্সারসাইজ করেন। কিন্তু যে কণার সাইজ ০.৩৩ ন্যানো মিটার, তাকে আটকানো খুব সহজ নয়। তা হলে এখন উপায় কী? উপায় হল একটাই! বাতাসে দূষণ যখন বেশি, তখন কিছু বিশেষ কৌশল রপ্ত করতে হবে। সেগুলো কী, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!
সন্ধে বা বিকেলের দিকে দৌড়নোর বা জগিং করার অভ্যেস একটু হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মুখে মাস্ক থাকলেও দূষিত কণা ঠিক ফুসফুসকে আক্রমণ করবেই। এমনিতেই দৌড়লে বা জগিং করলে ড়াতাড়ি হাঁফ ধরে যায়। ফলে অক্সিজেন বেশি লাগে। মাস্ক খুলে একটু শ্বাস নিলেই বিপদ! এর পরিবর্তে বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে হাঁটা ভাল।
হ্রাস টানতে হবে বাইরের খেলাধুলো বা আউটডোর গেমের ক্ষেত্রেও। ফুটবল, ক্রিকেট এগুলো এখন থাক। বরং বাড়ির ছাদে বা লনে ব্যাডমিন্টন, টেনিস, টেবিল টেনিস বা বাস্কেট বল খেলা যেতে পারে।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ করার জন্য বা প্রাণায়াম করার ক্ষেত্রে অনেকেই পার্ক বা এমন কোনও জায়গা বেছে নেন যেখানে পর্যাপ্ত আলো ও হাওয়া আছে। আপাতত ধ্যানজাতীয় যে কোনও এক্সারসাইজ বাড়িতেই কোনও একটা শান্ত জায়গা দেখে করা ভাল।