এভাবেই একঘেয়েমি কাটিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হয়ে উঠুক জীবনের সেরা পাওনা
এভাবেই একঘেয়েমি কাটিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হয়ে উঠুক জীবনের সেরা পাওনা
৪. করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনেককেই নতুন করে বিনিয়োগ করতে হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বেতনহ্রাস, চাকরি খোয়ানোর মতো বিষয়গুলিও। এই সব দিক বিবেচনা করে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে করছাড়ের পদক্ষেপ করতে পারে সরকার বলে মনে করছেন অনেকেই!
সহকর্মীদের সঙ্গে সামনাসামনি যোগাযোগ হচ্ছে না বলে সেই একঘেয়েমি আরও বাড়ছে। কেউ বা আবার বলছেন যে এই পদ্ধতিতে সংস্থা অনেক বেশি সময় ধরে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
#কলকাতা: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের কারণে অনেকগুলো মাস পেরিয়ে গেল আমরা সবাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম সিস্টেম মেনে কাজ করে চলেছি! অনেকেই এই পদ্ধতি নিয়ে নানা রকমের অভিযোগ করছেন। কেউ বলছেন যে বাড়ির পরিবেশে কাজ করতে করতে একটা একঘেয়েমি জন্ম নিচ্ছে। সহকর্মীদের সঙ্গে সামনাসামনি যোগাযোগ হচ্ছে না বলে সেই একঘেয়েমি আরও বাড়ছে। কেউ বা আবার বলছেন যে এই পদ্ধতিতে সংস্থা অনেক বেশি সময় ধরে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।বক্তব্যগুলো ভুল কিছু নয়! কিন্তু সব কিছুরই একটা সদর্থক দিকও থাকে। এই পদ্ধতিতে কাজ কিন্তু আখেরে আমাদের সুরক্ষিতই রাখছে। আর অভিযোগগুলো কাটিয়ে কী ভাবে এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম-কেই করে তোলা যায় উপভোগ্য, তা দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!১. কাজের জায়গা হোক আলাদাকাজের জায়গা আলাদা করে নিতে হবে। সেটা আলাদা ঘরও হতে পারে বা ঘরেরই একটা অংশ হতে পারে! মোদ্দা কথা, সেখানে বসে কাজ করলে একটা মানসিকতা তৈরি হয়ে যাবে, ফলে বাড়ি বসে কাজের একঘেয়েমি খুব একটা মাথায় আসবে না!২. ব্রেক টাইম
অফিসের কাজের মাঝে আমরা যেমন ছোট ছোট ব্রেক নিতাম, বাড়িতে বসেও সেটা করা যায়। কিছুক্ষণ কাজ করে অল্প একটু ব্রেক, তার পর আবার কাজ ধরা- এই বন্দোবস্তও কিন্তু একঘেয়েমি কাটিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম-কে উপভোগ্য করে তোলে!৩. ভার্চুয়াল আড্ডাসহকর্মীদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা না হলেও ভার্চুয়ালি কথা বলাই যায়, সেটা কিন্তু অফিসের আড্ডার খামতি পুষিয়ে দেবে!৪. কাজের জায়গা সাজানোঘর সাজানোর মতো করে কাজের জায়গাটা যদি একটু সাজিয়ে রাখা যায়, তা হলে কিন্তু ওখানে বসে কাজ করতেও ভালো লাগবে! একটা ফুল, প্রিয় কোনও ছবির মতো সামান্য জিনিসেই কিন্তু এই বৈচিত্র্য আনা সম্ভব!৫. কাজের পরে হাঁটাহাঁটিকাজ শেষ হয়ে গেলে সময় বের করে একটু হেঁটে আসাই যায়! এটা এক্সারসাইজের কাজ করে এনডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে মনকে হাসিুখুশি রাখবে। ফলে পরের দিন কাজে বসায় অনীহা তৈরি হবে না!৬. পর্যাপ্ত ঘুমরাতে অন্তত ঘণ্টা ছয়েক ঘুম দিতেই হবে। না হলে শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকবে, আর কাজে বসতে ইচ্ছে করবে না!
Published by:Akash Misra
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।