#কলকাতা: সমাজ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক আর অল্প একটু হলেও প্রগতিশীল হয়েছে বলে মনে করে থাকি আমরা! বিশেষ করে যৌনতা নিয়ে ছুঁৎমার্গ একটু একটু করে ঝেড়ে ফেলছে ভারতীয় সমাজ, এ দিক থেকে তার মনোভাব এখন অনেকটাই খোলামেলা! কিন্তু তার পরেও সমাজের একটি দিক খুব একটা বদলায়নি। একজন পুরুষ যত সহজে এই সমাজে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন, একজন নারীর ক্ষেত্রে কিন্তু তা দেখা যায় না। ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে এবং তা প্রচলিত নিয়মকেই সমর্থনকে করে! এই পর্বে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে সমাজের মেয়েদের এই দোটানার কারণটিকে বিশ্লেষণ করেছেন পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে।
পল্লবী জানিয়েছেন যে এক যুবক এই বিষয়ে অনুযোগ করে তাঁকে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য- অনেক মেয়েই তাঁর সঙ্গে মানসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়, কিন্তু যে-ই শারীরিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ ওঠে, তারা পিছিয়ে যেতে থাকে। কেন এমন হয়, এক এক করে দেখে নেওয়া যাক পল্লবীর বক্তব্য মোতাবেকে।
১. সাবেকি সামাজিক ধারণা
আমাদের সমাজে এখনও মেয়েরাই খুব সহজে নিন্দার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ধরেই নেওয়া হয়, যে মেয়ের একাধিক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক আছে বা যে মেয়ে এক কথায় শারীরিক সম্পর্কে রাজি হয়ে যায়, তার চরিত্র ভালো নয়। তাই অনেক মেয়েই চায় না যে পুরুষসঙ্গী তাকে সহজলভ্য ভাবুক! সেই জায়গা থেকে ইচ্ছে থাকলেও মেয়েরা পিছিয়ে যায়!
২. ভালোবাসা এবং শারীরিক সম্পর্কের সমীকরণ
কিছু ব্যক্তির পক্ষে মানসিক ঘনিষ্ঠতা বা স্পষ্ট ভাবে বললে ভালোবাসা শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদ্দীপনের বিষয় হয়ে থাকে। এই ব্যাপারটাকে ইংরেজি ভাষায় বলা হয় ডেমিসেক্সুয়ালিটি (Demisexuality)। এই ধরনের মানুষেরা অন্য পক্ষকে গভীর ভাবে ভালো না বাসা পর্যন্ত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন না। কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটাও নিছক যৌনতায় লিপ্ত না হওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পল্লবী।
৩. অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ
অস্বীকার করার উপায় নেই যে সন্তানজন্মের নেপথ্যে পুরুষ এবং নারীর উভয়েরই সক্রিয় থাকে। কিন্তু গর্ভধারণের বিষয়টি নারীকে সমাজে স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করে দেয়। ভারতীয় সমাজ এখনও অবিবাহিতার গর্ভধারণ সহজ ভাবে মেনে নিতে পারে না। সেই জায়গা থেকেও অনেক নারী বিয়ের আগে যৌনতায় প্রবৃত্ত হতে চান না বলে মতামত বিশেষজ্ঞার!
সব শেষে একটা কথা অবশ্য বলতে ভুলছেন না পল্লবী! তাঁর মতে- যৌনতা যৌনতাই, এ ক্ষেত্রে মর্যাদা হারানোর মতো বিষয় অবান্তর! তাই ইচ্ছে হলে, মনোমত সঙ্গী পেলে এবং সব দিক ঠিক থাকলে বিবাহ-পূর্ববর্তী যৌনতায় সাড়া না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। অনেক সময়ে নিছক যৌনতার সম্পর্কও গভীর ভালোবাসায় বদলে যায়, সেটাও মনে করিয়ে দিতে ভুলছেন না তিনি!
Pallavi Barnwal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sexual Wellness