What is Blood Pressure: হৃৎপিণ্ড থেকে পরিশোধিত রক্ত ধমনীর মাধ্যমে আমাদের সারা দেহের কলাকোষে ছড়িয়ে পড়ে। আর রক্ত সরবরাহের সময় ধমনীর ভিতরের প্রাচীরে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাকেই রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার বলা হয়। আবার সহজ ভাবে এটাও বলা যায়, রক্ত চাপ হল আসলে একটা চাপ বা বলপ্রয়োগের পরিমাপ। আমাদের দেহের হৃদযন্ত্র যে বল বা শক্তি ব্যবহার করে সারা দেহে রক্ত পাম্প করে, সেটাই রক্ত চাপ। যদিও এক জনের দেহে গড় রক্তচাপে সে রকম কোনও পরিবর্তন দেখা যায় না। আর গোটা দিনে যদি রক্তচাপ কখনও ওঠা-নামা করে, সেটা খুবই নগণ্য। কারণ অনেক সময় আমরা বিশ্রাম নিই, সেই সময় রক্তচাপ কম থাকতে পারে। আবার অনেক সময় মানসিক চাপ বা উদ্বেগের মধ্যে আমরা থাকি, সেই সময় রক্ত চাপ সাধারণত বেড়ে যায়। কিন্তু রেস্টিং ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেলে মুশকিল! সে ক্ষেত্রে ধমনী দৃঢ় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এর পর একটা প্রশ্নই আসবে, ঠিক কী কারণে রক্ত ধমনীতে চাপ সৃষ্টি করে? উত্তর খুবই সহজ, হৃৎপিণ্ড প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে সংকুচিত হয় আর তখন রক্ত সঞ্চালন করার জন্য জোর দেয়। যার ফলে রক্ত প্রবাহের সময় ধমনীতে রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অনেকটা প্লাম্বিং করার মতো-- যেখানে রক্ত হল ‘প্রবাহ’ আর ধমনী হল ‘পাইপ’। রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে যাত্রা শুরু করার পর চাপ সর্বোচ্চ থাকে। রক্ত মহাধমনীতে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে শাখা-ধমনীগুলিতে রক্ত প্রবাহিত হয়। শাখাধমনীগুলিতে সঞ্চালনের সময় রক্তের চাপ সর্বনিম্ন হয়।
ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ কী ভাবে মাপা হয়?
রক্তচাপ সাধারণত মাপা হয় পারদ বা মার্কারির মিলিমিটার (mmHg) ইউনিটে।
সিস্টোলিক প্রেশার (Systolic Pressure): হৃৎস্পন্দনের সময় ধমনীতে যে প্রেশার বা চাপ সৃষ্টি হয়, সেটাকে সিস্টোলিক প্রেশার বলা হয়। অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড সংকুচিত অবস্থায় যে সর্বাধিক চাপ সৃষ্টি করে, তাকে সিস্টোলিক প্রেসার বলা হয়।
আরও পড়ুন: শরীর ভাল রাখতে কাঁচা দুধ খাচ্ছেন? দেখে নিন কী বিপদ লুকিয়ে আছে!
ডায়াস্টোলিক প্রেশার (Diastolic Pressure): হৃৎস্পন্দনের মাঝে হৃদযন্ত্র বিশ্রাম নেওয়ার সময় ধমনীতে যে প্রেশার বা চাপ সৃষ্টি হয়, সেই প্রেশারকেই ডায়াস্টোলিক প্রেশার বলে গণ্য করা হয়। অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড যখন শিথিল অবস্থায় থাকাকালীন যে চাপ সৃষ্টি করে, তাকে ডায়াস্টোলিক প্রেশার বলে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, যদি কোনও ব্যক্তির রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg হয়, তার অর্থ হল-- তাঁর সিস্টোলিক প্রেশার ১৪০ mmHg এবং ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৯০ mmHg।
সাধারণ গাইড:
যদিও বয়সের ওপর ভিত্তি করে রক্তচাপের মাত্রা বেশি বা কম হতে পারে।
কী কী কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে?
কী কী কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে?
আরও পড়ুন: থলথলে পেট? বর্ষায় এই Diet মেনে চলুন, মাসে মাসে ৫ কেজি ওজন কমবে গ্যারান্টি!
রক্তচাপ ওঠানামার লক্ষণ কী?
এই সমস্ত লক্ষণগুলি দেখে বুঝে নিতে হবে যে, রক্তচাপ বেড়েছে না কমেছে। শুধু তা-ই নয়, নিয়মিত প্রেশার মাপতে হবে। যদি দেখা যায় যে, প্রেশার বেড়েছে অথবা কমেছে, তা হলে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Blood Pressure, Health Tips