সবার আগে এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট করে না নিলেই নয়- বাড়ির কোন দরজাটির কথা এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে?
যাঁদের নিজেদের বাড়ি রয়েছে, তাঁদের প্রবেশের সাধারণত দু'টি দরজা থাকে। একটি প্রধান ফটক, সেটা পেরিয়ে এসে তার পর আরেকটি দরজা খুলে ঢুকতে হয় বাড়িতে। বাস্তুশাস্ত্র মতে এই প্রধান ফটকটি স্থাপনের সময়ে অনেকেই নানা রকমের ভুল করে থাকেন। পরিণামে গৃহে প্রবেশের পথ পায় নেতিবাচক শক্তি, যা পরিবারের সদস্যদের জীবনে অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে, জীবন সুখে পূর্ণ হয় না।
তা বলে হুট করে ফটকটি তুলে নিয়ে সেটা অন্যত্র স্থাপন করাও সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্র মতে কী করণীয়, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!
১. পুরাণ থেকে বাস্তুশাস্ত্র, গৃহশান্তি রক্ষায় তুলসী গাছের মহিমার কথা সর্বত্র স্বীকৃত। তাই প্রধান ফটকের বাইরে একটি তুলসী গাছ রাখা যায়। তবে ভুললে চলবে না, এক্ষেত্রে রোজ সকালে এবং সন্ধ্যায় তুলসী গাছটিতে জল দিয়ে, ধূপ দিয়ে, সন্ধ্যায় প্রদীপ দিয়ে অর্চনা করতে হবে। অন্যথায় কুপিতা হবেন দেবী লক্ষ্মী!
২. যদি রোজ পূজার্চনার ব্যাপারটি সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে তুলসী গাছ না রাখাই ঠিক হবে। এর পরিবর্তে প্রধান ফটকের বাইরে লাগানো যেতে পারে জেসমিন গাছ। মধুর সুগন্ধের পাশাপাশি এটি গৃহে শান্তি এবং কল্যাণ নিয়ে আসে নেতিবাচক শক্তি দূর করে।
৩. বড় পাতা আছে এবং ছায়া দেয়, এই রকম কোনও সবুজ গাছও লাগানো যেতে পারে প্রধান ফটকের বাইরে। এক্ষেত্রে কলাগাছের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে। কলাগাছ দেবী দুর্গার একটি রূপের প্রতীক, এটিও নেতিবাচক শক্তি প্রতিহত করে।
৪. প্রধান ফটকের কাছে ক্রিস্টাল রাখলে তা সূর্যাস্তের সময়ে নেতিবাচক শক্তিকে দূরে অপসারিত করে।
৫. যদি প্রধান ফটকটি উত্তর দিকে অবস্থিত হয়, তাহলে বাস্তুশাস্ত্র মতে অবশ্যই তার রং হওয়া উচিৎ সাদা অথবা হালকা নীল!
৬. প্রধান ফটকের উপরে যদি জায়গা থাকে, তাহলে সেখানে সিদ্ধিদাতা গণেশের মূর্তি স্থাপন করা যেতে পারে। জায়গা না থাকলে প্রধান ফটকের পাশের পাঁচিলেও গণেশের ছবিওয়ালা টাইল লাগানো যায়।
৭. প্রধান ফটকের উপরে, ফটকের গায়ে বা পাশের পাঁচিলে স্বস্তিক চিহ্ন স্থাপন করা যায়; এটিও নেতিবাচক শক্তিকে বাড়ির আশেপাশে ঘেঁষতে দেয় না।