#কলকাতা:
এই যে হিরেকে বিশেষ করে মহিলাদের সেরা বন্ধু বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, বইকে নয়, তা অনেকেরই গায়ে লাগতে পারে! বই ভালোবাসেন এমন মহিলার সংখ্যাও কম নয়, এব্যাপারে তাঁরা হিরের চেয়ে বইয়ের লেখার আলোকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন! দিলে কী হবে, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে অনেকেরই সাধের বই খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার উদাহরণ ঢের মিলবে। আসলে বই খুবই স্পর্শকাতর এক জিনিস, তাকে রাখতে হয় প্রায় নবজাতকের মতো যত্নে। বিশেষ করে বর্ষাকালে দিতে হয় বাড়তি নজর, এই সময়ে ছাতা পড়ে, পোকার উপদ্রবে বইয়ের দফারফা হয়েই থাকে! অতএব দেখে নেওয়া যাক কোন ৯ কায়দায় সাধের বইকে রাখা যাবে সুরক্ষার কবচে মুড়ে!১. অপরিচ্ছন্ন হাতে বই ধরবেন না, এক্ষেত্রে ধুলো লেগে বইয়ের পাতা যেমন ময়লা হবে, তেমনই ওই ধুলোর টানে পোকামাকড়ও আসবে বইয়ের কাছে।
২. কাগজ বর্ষাকালে একটু স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। তাই এই মরশুমে বিশেষ করে হলেও সারা বছরেই আবার পড়া শুরু করার জন্য বইয়ের পাতা ভাঁজ করে রাখার অভ্যাস ছাড়তে হবে, বদলে বুকমার্ক ব্যবহার করা যায়। না হলে বই সহজেই ছিঁড়ে যাবে।
৩. শিশু এবং পোষ্যদের কাছ থেকে প্রিয় বই দূরে রাখাই ভালো, ওরা তো আর পড়বে না, তার বদলে যে কী করবে- ভাবলেও বুক কেঁপে ওঠে!
৪. কঠিন হোক বা তরল- খাবার খাওয়ার মাঝে বই নিয়ে না বসাই ভালো- আচমকা পাতায় খাবার পড়ে গেলে বইটা তো নোংরা হবেই, আবার ওই সূত্রে জীবাণু আর পোকার উপদ্রব বাড়বে।
৫. আপনি বিয়ের পোকা হলে ক্ষতি নেই! কিন্তু আসল বইপোকাদের ঠেকিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর জন্য বইয়ের তাকে ন্যাপথলিনের গোলা বা ওডোনিল দিয়ে রাখতে পারেন, তা বইয়ের পাতায় একটা হালকা সুগন্ধও যোগ করবে।
৬. স্যাঁতসেঁতে জায়গায় বই রাখবেন না, তাতে বইয়ের মলাট আলগা হয়ে আসবে, পাতাগুলোও খুলতে শুরু করবে।
৭. ঠিক তেমনই আবার কড়া সবর্যের আলো পড়ছে, এমন জায়গাতেও বই না রাখাই উচিত হবে, তাতে মলাট বিবর্ণ হয়ে যাবে।
৮. ইচ্ছে হলে বইয়ে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের মলাট পরিয়ে নিতে পারেন, তাতে বইটা ঢাকাও থাকবে, আবার মলাট দেখাও যাবে।
৯. সব চেয়ে জরুরি এবং শেষ কথা একটাই- সপ্তাহে অন্তত একদিন সময় করে বইয়ের তাক এবং তাকে থাকা বইয়ের ধুলো ঝাড়তেই হবে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।