ওভুলেশন। প্রজনন চক্রেরই একটি বিশেষ অংশ হল ওভুলেশন (Ovulation)। একজন মহিলার গর্ভধারণের ক্ষেত্রে এই বিশেষ প্রক্রিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু কী এই ওভুলেশন? কখন হয়? এ নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন Indira IVF-এর CEO ক্ষিতিজ মুর্দিয়া (Kshitiz Murdia)। আসুন জেনে নেওয়া যাক!
কী এই ওভুলেশন?
ডিম্বাশয় থেকে ফ্যালোপিয়ান টিউবের (Fallopian Tube) মধ্যে ডিম্বাণুগুলির নিঃসরণ শুরু হওয়ার সময়কালকেই বলা হয় ওভুলেশন। এই সময়ে মূলত নিষেক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় ডিম্বাণু ও শুক্রাণু। যা থেকে পরের দিকে ভ্রূণ তৈরি হয়।
কী ভাবে বোঝা যাবে ওভুলেশনের দিন?
ওভুলেশন বোঝার জন্য নির্দিষ্ট কোনও উপায় নেই। তবে ঠিক কোন সময়ে ওভুলেশন হতে পারে, তা অনুমান করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিবার ঋতুচক্র শুরু হওয়ার ১৩-১৫ দিন আগে শুরু হতে পারে ওভুলেশন। সেই অনুযায়ী, সাধারণত মাসের ১৪-১৫ তারিখের দিকে হতে পারে ওভুলেশন।
ওভুলেশনের উপসর্গ কী?
কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই। মহিলা বিশেষে বদলাতে থাকে ওভুলেশনের উপসর্গগুলি। এক্ষেত্রে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ, অল্প ব্যথা, স্তনের কিছু অংশ নরম হয়ে যাওয়া, ব্লটিং-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এগুলির পাশাপাশি অনেক সময়ে শারীরিক তাপমাত্রা ওঠা-নামা করে। এক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা, ওভুলেশন প্রেডিকশন কিট, নানা ধরনের ওভুলেশন ইন্ডিকেটর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফার্টাইল উইন্ডো (Fertile Window) কী? ওভুলেশনের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক রয়েছে?
রি-প্রোডাকটিভ সাইকেল তথা প্রজনন চক্রের মধ্যে যখন গর্ভধারণের সম্ভাবনা প্রবল থাকে, তখন সেই সময়কালকে বলা হয় ফার্টাইল উইন্ডো। এই সময়ে মহিলাদের শরীরে প্রায় তিন দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে শুক্রাণু। তবে ডিম্বাণুর সক্রিয় থাকার গড় আয়ু হল ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ একদিন। এক্ষেত্রে ওভুলেশনের তিন-চারদিন আগে থেকে শুরু করে ওভুলেশনের দু'দিন পর পর্যন্ত যে কোনও সময় গর্ভধারণের জন্য আদর্শ।
৪০ বছরের পর প্রেগনেন্সি বা ওভুলেশনের ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন দেখা যায়?
৩০ বছরের পর থেকে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুগুলির গুণগত ও পরিমাণগত মান হ্রাস পেতে শুরু করে। ৩৫ বছর বয়সে এসে এবং তার পরবর্তী সময়ে ডিম্বাণুর পরিমাণ একেবারে কমে যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ART পদ্ধতির সাহায্যে সন্তানধারণ করা যেতে পারে। ৪০ বছরের পর ওভুলেশন ও বন্ধ্যাত্বের বিষয়টি সামনে আসতে পারে। এক্ষেত্রে এগ ফ্রিজিং (Egg Freezing) ক্রায়োপ্রিজার্ভেশন (Cryopreservation), PGTA, IVF,IUI-সহ একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। যেগুলির সাহায্যে ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভধারণ করা যেতে পারে।
তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তার পর-ই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।