#নিউইয়র্ক: সেই যে হযবরল-তে চল্লিশের পর বয়সের কাঁটা উল্টো দিকে ঘুরে যেত, বাস্তবেও যদি এমনটা হত কী ভালই না হত! আর বয়স বাড়লেই মুখের রেখায় ত্রিকোণমিতির পরিমাণও একটু কম হত। সত্যি বলতে কী, বুড়ো হতে কে-ই বা চান? সকলেই চান চিরযুবা হয়ে থাকতে। এত দিনে বোধ হয় সেই স্বপ্ন সত্যি পূর্ণ হতে চলেছে!
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বা ISS-এ পাঠানো একটি ইঁদুরের উপর এই অ্যান্টি-এজিং পরীক্ষা করে দেখেছে জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা JAXA এবং তোহুকো বিশ্ববিদ্যালয়। কিয়োদো নিউজের একটি রিপোর্ট বলছে যে নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টর এরিথ্রয়েড ২ এবং রিলেটেড ফ্যাক্টর ২ বা সংক্ষেপে Nrf2 নামক প্রোটিন ওই ইঁদুরের শরীরের কিছু জৈব ক্রিয়ার পরিবর্তনের গতি ধীর লয়ের করে দিয়েছে, অনেকটা এজিং প্রসেস ধীরগতির করে দেওয়ার মতো।
এই Nrf2-কে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রতিক্রিয়ার মাস্টার রেগুলেটর বা মূল নিয়ন্ত্রক বলা হচ্ছে। আমাদের শরীরে মানসিক চাপ মোকাবিলা করার যে ক্রিয়া, তাকে চালনা করে এই Nrf2। ২০১৮ সালে স্পেস এক্স ফ্যালকন নামক রকেটে ১২টি ইঁদুরকে স্পেসে পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে ছ’টা ইঁদুরকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে তারা এই Nrf2 গ্রহণ করতে না পারে। দেখা গিয়েছে, যে ইঁদুরের দল Nrf2 নেয়নি তাদের শরীরে রক্তের উপাদানে কিছু বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। একই রকমের পরিবর্তন এজিং প্রসেস শুরু হলেও দেখা যায়।
কিন্তু যে সব ইঁদুরের শরীরে Nrf2 প্রোটিন দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে এ রকম কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। অর্থাৎ এটা বেশ স্পষ্ট যে Nrf2 প্রোটিন এই পরিবর্তন অনেকটাই রোধ করে দিয়েছে। এই প্রোটিন শুধু যে একটি অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবেই কাজ করতে পারে তা নয়, বয়সজনিত নানা রোগ, যেমন অ্যালজাইমার্স এবং ডায়াবেটিস সারাতেও কাজে আসবে। তার সঙ্গে সঙ্গে স্পেসে যাঁরা যান, তাঁদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী হবে। এখন এটাই দেখার, এই প্রযুক্তি শুধু মহাকাশচারীদের জন্যই সীমাবদ্ধ থাকে কি না!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anti Ageing