#কলকাতা: পুরাণকথা বলে যে স্বয়ং দেববৈদ্য অশ্বিনীকুমারেরা এই আয়ুর্বেদিক আরোগ্যলাভের সন্ধান দিয়েছিলেন চ্যবন ঋষিকে। তাঁরা নানা ওষধির মিশ্রণে যে মণ্ডটি প্রস্তুত করেছিলেন, তা সেবন করেই না কি অতিবৃদ্ধ ঋষির শরীরে এসেছিল যৌবনের কান্তি। তার পর প্রস্তুতির নিয়ম জেনে তিনি সেটির প্রচলন ঘটান মর্ত্যে, তাই আয়ুর্বেদজাত এই মিশ্রণ প্রসিদ্ধ হয় চ্যবনপ্রাশ নামে। সাম্প্রতিক খবর বলছে যে এ হেন চ্যবনপ্রাশ ঠেকিয়ে রাখতে পারে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণও। একটি সমীক্ষার তরফে দাবি করা হয়েছে যে চ্যবনপ্রাশের নিত্য সেবন করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে দেয়, বাড়িয়ে তোলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই তথ্য পেশ করেছে ডাবর (Dabur)। তার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে GCP-র সমস্ত রকম নিয়মাবলী মেনে বিগত কয়েক মাসে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল সংস্থার তরফে দেশের নানা প্রান্তে। অতঃপর যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাকে যাচাই করে দেখেছে ICMR-এর এক পোর্টাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস রেজিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া (Clinical Trials Registry of India)। সব শেষে, ডাবর যে সমীক্ষা পরিচালনা করেছে, তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
খবর বলছে যে জয়পুর, মুম্বই, পুণে এবং ভদোদরার দুই আয়ুর্বেদিক সেন্টারে ৬৯৬ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে বিগত তিন মাস ধরে এই সমীক্ষাটি চলেছে। এঁদের মধ্যে ৩৫১ জন ব্যক্তিকে রোজ দুই বেলা দুই চামচ চ্যবনপ্রাশ খাওয়ানো হত, বাকি ৩৪৫ জন ব্যক্তিকে তা দেওয়া হত না। এর পর ধাপে ধাপে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে প্রতি দিন চ্যবনপ্রাশ সেবনের অভ্যাস করোনার সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে ১২ গুণ বেশি কাজে আসে। যাঁরা একেবারেই চ্যবনপ্রাশ সেবন করেন না, তাঁদের তুলনায় রোজ চ্যবনপ্রাশ গ্রহণকারীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও ৬ গুণ কম!
ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দ প্রকাশ করেছেন ডাবর ইন্ডিয়া লিমিটেডের হেল্থ সাপ্লিমেন্টস-এর মার্কেটিং হেড প্রশান্ত আগরওয়াল। তিনি জানিয়েছেন যে করোনাকালে দেশের মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ ভাবে যে পাশে থাকতে পারছে সংস্থা, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক! তাঁর দাবি- করোনাবিধ্বস্ত দেশে এ ভাবেই আয়ুর্বেদের সাহায্যে মানুষের সেবা করবে সংস্থা!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus