গ্রীষ্মকালে রোদে বেরোলে দরদরিয়ে ঘাম খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এর সঙ্গে ফ্রিতে আসে ট্যান। ত্বকের উপর বিশ্রি কালো দাগ হয়ে যায়। এই সময় ৬ গুণ বেশি তীব্রতার সঙ্গে আছড়ে পড়ে সূর্য রশ্মি। ফলে ট্যানিংয়ের সমস্যা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদানেই ট্যানিংয়ের মোকাবিলা করা যায়। ত্বককে ফিরিয়ে আনা যায় পূর্বাবস্থায়।
ট্যানিং সম্পর্কে আয়ুর্বেদ যা বলছে:
আয়ুর্বেদ অনুসারে পিত্ত দোষ শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ৫টি উপদোষ রয়েছে, যার মধ্যে একটি হল ব্রজক পিত্ত। এই উপদোষ ত্বকের গুণমান নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রজক পিত্ত ভারসাম্য হারালে ত্বকে ব্রন, ফুসকুড়ি এবং পিগমেন্টেশন দেখা দেয়।
সূর্য রশ্মি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিন্তু অত্যধিক সূর্যালোকের সংস্পর্শে, বিশেষ করে যখন সূর্য মাথার উপরে থাকে, তখন হাইপারপিগমেন্টেশন, রোদে পোড়া, এমনকী কিছু ধরনের ত্বকের ক্যানসার পর্যন্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর ফলে ব্রজক পিত্ত মেলানিন গঠন করতে শুরু করে যাতে ত্বকে ট্যান পড়ে। পিত্ত দোষ কমাতে ঠান্ডা, মিষ্টি এবং জলের পরিমাণ বেশি এমন খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বকে গোলাপ জলের সঙ্গে শসার টুকরো, চন্দনের পেস্ট এবং মুলতানি মাটি লাগালে সুরাহা মেলে। এখানে ট্যানিংয়ের মোকাবিলায় আয়ুর্বেদ অনুযায়ী কিছু ঘরোয়া উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হল।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ধর্মঘট চলছিল, অবশেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকা শ্রমিকদের বেতন চালু
অ্যালোভেরা জেল:
চড়া রোদে বাইরে গেলে সূর্যের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ত্বকে ট্যান হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়িতে বসে থাকা যায় না। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সানবার্ন আটকাতে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। এ ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে সানবার্ন তুলতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায়। অল্প জেল নিয়ে ত্বকে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বক ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকবে।
গোলাপ জল এবং বেসন:
ট্যান অপসারণের জন্য বেসন দারুণ কার্যকর। এটি ত্বক উজ্জ্বল করতেও সহায়তা করে। এই ফেস প্যাক তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর ওই পেস্টটি মুখ এবং গলায় লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর জল দিয়ে আলতো করে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার এই প্যাক ব্যবহার করলেই ফল মিলবে হাতে-নাতে।
আমন্ড ও দুধের পেস্ট:
আমন্ড ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ও ফর্সাভাব পুনরুদ্ধারে এর জুড়ি নেই। সারারাত ভিজিয়ে রাখা আমন্ড গুঁড়ো করে নিয়ে তাতে দুধ ও মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। দুধে রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং ক্ষমতা। আমন্ডের এই পেস্ট প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসাবেও কাজ করবে। স্নানের আগে পেস্টটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Skin Care Tips