খুব ধীরে আসছে এই রোগ । এই রোগের শিকার মূলত কম বয়েসী মেয়েরা। ইউএন ন্যশানল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন জানাচ্ছে ভারতেও রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। ১৯৯৫ সালে এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে এই দেশে প্রথম চিহ্ণিত করা যায়। তারপর এ যাবৎ প্রায় ১৩৬৬ জনকে এই রোগে আক্রান্তকে শনাক্ত করা গিয়েছে। ভবিষ্যতে রোগীর সংখ্যা বাড়বে বই কমবে না।
খোলসা করে বলা যাক। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এই রোগটি নাম সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটাস বা এসএলই। শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এমনকী কোষও আক্রান্ত হয় এই রোগে। ণ চিকিৎসকরা বলছেন এসএলই একটি অটো ইমিউন ডিজিজ। চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, না করলে মৃত্যু।
দেখা গিয়েছে পুরুষ নয়, মেয়েরাই এসএলই-এর শিকার। ১৫-৮৫ বছরের মহিলারা যে কোনও সময় লুপাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
সিএলই-এর মূল লক্ষণগুলিতে চোখ বোলানো যাক-
তিন মাসের বেশি সময় ধরে একাধিক অস্থি সন্ধি ফুলে থাকা, দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, খিঁচুনি, অস্বাভাবিক বুকে ব্যথা, যা দীর্ঘ শ্বাস নিলে বাড়ে, হাতের তালুকে, নাকে কানে, গলায় ঘা, লালচে প্রস্রাব, আঙুলের গোড়ার রঙ বদলে যাওয়া, এইগুলিই এই রোগের মূল লক্ষণ।
এই ধরনের লক্ষ্মণ শরীরে দেখা দিলে। লুপাস সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে তা ক্রমেই বাড়বে, তৈরি হবে নিত্যনতুন উপসর্গ। লুপাস রোগীর জীবনে অনেক বিধিনিষেধ থাকলেও অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে। যেমন, লুপাস জন্মগত। এই ধারণা ঠিক নয়। লুপাস ছোঁয়াচেও নয়। লুপাস রোগী যৌন সংসর্গও করতে পারেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।