#নয়াদিল্লি: গ্রীষ্মের রাজা আম। কিন্তু এই সময়ে লিচুর কদরও কম নয়। প্রত্যেক ফল বিক্রেতার ঝুড়ি থেকেই উঁকি মারে লাল রঙের এই রসালো ফল। বাজারে খুব অল্প সময়ের জন্য আসে রসালো লিচু। পুষ্টিগুণের দিক থেকে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। ত্বকের যত্নেও লিচু অপরিহার্য।
হজম শক্তির উন্নতিতেও লিচু খাওয়া খুবই উপকারী। আসলে লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে কাজ করে। লিচু খেলে গরমে বমি ও ডায়রিয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল, যা শরীরকে জলের অভাবের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। লিচু খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। এটি মেটাবলিজমকেও শক্তিশালী করে। শুধু তাই নয়, লিচু ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: গরমে মাংসে অরুচি? রোজ পাতে এক টুকরো চিকেনেই লুকিয়ে ম্যাজিক, কারণ জানেন?
তবে এ তো গেল পুষ্টিগুণ আর উপকারিতার কথা। এর বাইরেও লিচুর অজস্র গুণ রয়েছে। আম দিয়ে যেমন মজাদার সব রেসিপি বানানো যায়, লিচুও তেমনই। রান্নায় স্বাদ আর ট্যুইস্ট আনতে এর জুড়ি নেই। জন্মদিনে মায়ের হাতে পায়েস প্রায় সব বাড়িতেই হয়। এবারও পায়েস হোক, তবে লিচুর। হ্যাঁ, গরমে লিচুর পায়েস আক্ষরিক অর্থেই লাজবাব। অতিথিদের পাতে পড়লে তাঁরাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন।
উপকরণ: ১ লিটার ফুল ফ্যাট দুধ, ১ কাপ গোবিন্দভোগ চাল, ২ থেকে ৩ চামচ খোয়া ক্ষীর, ২০০ গ্রাম চিনি, ১/২ কাপ শুকনো ফল (কাজু, বাদাম, পেস্তা, কিসমিস কুচো করে কাটা), ২টো এলাচ, ২টো তেজপাতা এবং কুচি কুচি করে কাটা ৮টি লিচু।
তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে মাঝারি আঁচে একটি কড়াইয়ে দুধ ফোটাতে হবে। দুধ ফুটে ঘন হোক। অন্য দিকে চাল জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে কয়েক ঘণ্টা। দুধ ঘন হয়ে হলুদ হয়ে এলে তাতে চাল দিতে হবে। চাল সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ফুটুক। সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে এলাচ গুঁড়ো ও তেজপাতা দিতে হবে। কিছু ক্ষণ রান্না করার পর, লিচুর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে তাতে মিশিয়ে দিতে হবে। তার পর খোয়া ক্ষীর, স্বাদমতো চিনি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে ভালো করে। ২ মিনিট রান্না করা পর পায়েস ঘন হয়ে এলে একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে কাজুবাদাম, কিসমিস, পেস্তা দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।