#: কোভিড ১৯ আমাদের জীবন অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে। বাড়িতে বন্দী থাকা অবস্থায় অফিসের কাজ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজের পঠন-পাঠন সবই হচ্ছে অনলাইনে। আচমকা এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া অনেকের পক্ষেই খুব কঠিন ছিল। বিশেষ করে স্কুলের পড়ুয়াদের কাছে এটা ছিল এক মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। এক বছর ধরে তারা স্কুলে যেতে পারেনি। শিক্ষক বা বন্ধুদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন দেখা না হওয়া তাদের মনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কিছু দিনের জন্য স্কুল খুললেও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য আবার স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমত অবস্থায় বাবা মায়ের উচিত সন্তানের অনুভূতির খেয়াল রাখা এবং পরিস্থিতির মোকাবিলা করে অনলাইন শিক্ষায় তাকে অনুপ্রাণিত করা।
আপনার সন্তানও যদি আচমকা অনলাইনের ধাক্কায় নাজেহাল হয়ে থাকে এবং আপনিও যদি বাবা, মা হিসেবে এই বিকল্প শিক্ষাপথ আরও আলোকিত করার কোনও রাস্তা খুঁজে থাকেন, তাহলে কয়েকটা উপায় বাতলে দিচ্ছি আমরা।
পড়াশোনার একটা কাঠামো ও রুটিন তৈরি করুন
যখন আপনার সন্তান স্কুলে যেত তখন সে একটা নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে দিয়ে যেত। অনলাইন পড়াশোনারও একটি রুটিন আছে। কিন্তু সেটা একটু অন্যরকম। তাই সারা সপ্তাহের একটা রুটিন ও পড়াশোনার কাঠামো আপনি নিজেই তৈরি করে দিন। মাঝে মাঝে ব্রেক দিন যাতে সন্তান ক্লান্ত না হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে উপহার দিন
ছোট বাচ্চারা যদি অনলাইনে ঠিকঠাক পড়াশোনা করে এবং তাঁদের হোমওয়ার্ক গুছিয়ে শেষ করে তাহলে তাকে মাঝে মধ্যে ছোট ছোট উপহার দিন। কখনও একটা ভালো সিনেমা একসঙ্গে দেখুন বা চকোলেট উপহার দিন। এতে তাঁর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে।
আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন
বন্ধুরা স্কুলজীবনের অন্যতম অঙ্গ। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন দেখা না হওয়া একটা কষ্টকর বিষয়। এইটা বুঝে ছেলেমেয়ের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কথা বলে তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। তাকে এইটা বুঝতে দিন যে এই দুঃসময় একদিন চলে যাবে। এতে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সে পড়াশোনায় আগ্রহ পাবে।
কোনও চাপ তৈরি করবেন না
ছেলেমেয়েরা দীর্ঘ দিন অনলাইন ক্লাস করে বিরক্ত বোধ করতে পারে। কিন্তু বাবা মা হিসেবে আপনি বিরক্ত হলে চলবে না। যদি সন্তান বলে তাঁরা বারান্দা বা ছাদে ক্লাস করতে চায়, তাদের মাঝে মধ্যে অনুমতি দিন।
শিক্ষামূলক খেলা ও পড়াশোনার জিনিসপত্র তৈরি রাখুন
তথাকথিত গতে বাঁধা পড়াশোনায় ছেলেমেয়েকে ঠেলে না দিয়ে তাকে নানা রকমের শিক্ষামূলক খেলায় অনুপ্রাণিত করুন। এতে একঘেয়েমি কেটে যাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Children