#কলকাতা: পৌরুষের সঙ্গে আমাদের সমাজে অনেক দিন ধরেই বলিষ্ঠতার সংজ্ঞা ওতপ্রোত ভাবে জুড়ে গিয়েছে। পুরুষ যদি চারিত্রিক ভাবে বলিষ্ঠ না হন, যদি তাঁর আচরণ এবং কথার ধরণ ঠিকঠাক না হয়, তা হলে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের উপহাসের শিকার হতে হয়। এই তথাকথিত বলিষ্ঠতার জায়গা থেকেই পুরুষ সব সময়ে যৌনতায় সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং পরিচালিত করবে নারীকে- এমনটা ধরে নেওয়া হয়। আর ঠিক এই জায়গা থেকে সমাজের অনেক ভুল ধারণার মতো এটাও যে বদলানোর সময় এসে গিয়েছে, সে দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল। কী বলছেন তিনি এই প্রসঙ্গে?
নাম প্রকাশ না করে এ ক্ষেত্রে পল্লবী তুলে ধরেছেন জনৈক ব্যক্তির কথা। তিনি চিঠি মারফত জানিয়েছিলেন তাঁর যৌনোদ্দীপক বৃত্তির কথা। ওই ব্যক্তির বক্তব্য- তিনি যৌনক্ষেত্রে কোনও মহিলার দ্বারা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রিত হতে ভালোবাসেন। শুধু তা-ই নয়, মাঝে মাঝে তিনি মহিলাদের মতো পোশাক পরতেও পছন্দ করেন। অর্থাৎ, চিরাচরিত ধারণার দিক থেকে দেখলে, এ ক্ষেত্রে ভূমিকা বদলে যাচ্ছে। ওই ব্যক্তি রমণকালে নারীভূমিকায় থাকতে চাইছেন, চাইছেন তাঁর সঙ্গিনী তাঁকে বাধ্য করে উত্তেজিত করে তুলুন!
সাফ জানাচ্ছেন পল্লবী- এই চাওয়ার মধ্যে কোনও ভুল নেই! জনৈক মানুষ লিঙ্গগত দিক থেকে কোন গোত্রে থাকবেন, সেটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ঠিক করে দেয় ক্রোমোজোম এবং যৌন অঙ্গ; বাকিটা সেই সূত্রে নিয়ন্ত্রণ করে সমাজ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে মনটিও শরীরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে, ঠিক যেমনটা পল্লবীর দ্বারা উল্লিখিত ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে হচ্ছে না!
পল্লবী এ প্রসঙ্গে দুই বিষয়ের উপরে আলোকপাত করেছেন। একটি ক্রস ড্রেসিং বা এক লিঙ্গের মানুষের অন্য লিঙ্গের মতো পোশাক পরার মনোবৃত্তি এবং অপরটি হল মর্ষকাম। বিশেষজ্ঞার মত, এই দুই বিষয়ই সারা পৃথিবীর মানুষের যৌনক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত, অতএব তা অস্বাভাবিক নয় এবং সে কারণেই সঙ্গিনীর কাছে এ গোপন করে যাওয়াটাও অর্থহীন।তবে পল্লবী এটাও বলতে ভোলেননি- যদি সঙ্গিনী এমন রতিক্রীড়ায় ইচ্ছুক না হন, সে ক্ষেত্রে তাঁর মতকে সম্মান দেওয়াটাই বিচক্ষণতা!
Pallavi Barnwal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sexual Wellness