হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
Sperm count: মাতৃগর্ভে থাকার সময় থেকেই ছেলেরা হারাচ্ছে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা

Sperm count: মাতৃগর্ভে থাকার সময় থেকেই ছেলেরা হারাচ্ছে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা, পরিসংখ্যানের ইঙ্গিত পৃথিবী জনশূন্য হয়ে যাওয়া

Representational Image

Representational Image

১৯৭৩ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীর নিরিখে পুরুষদের শরীরে শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ কমে গিয়েছে ৫৯ শতাংশ।

  • Share this:

#ওয়াশিংটন: এটা ঠিক যে এখনও সময় আছে, পৃথিবী একেবারে জনশূন্য হয়ে যেতে সময় লাগবে বেশ খানিকটা! কিন্তু গত ৪০ বছরে যে হারে কমে গিয়েছে পুরুষদের শরীরে শুক্রাণু উৎপাদনের হার, যে হারে কমে গিয়েছে পুরুষদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা, তার জেরে ২০৪৫ সালের মধ্যেই পৃথিবীর জনসংখ্যা একটা বড়সড় আঘাত পেতে চলেছে। খবর বলছে যে মাতৃগর্ভে থাকার সময় থেকেই না কি পুরুষদের সন্তান উৎপাদনের স্বাভাবিক শক্তি কমে যাচ্ছে, ফলে প্রাপ্তবয়সে এসে দেখা দিচ্ছে নানারকম শারীরিক দুর্বলতা!

সম্প্রতি পুরুষদের শরীরে এই শুক্রাণু উৎপাদনের হার কমে যাওয়ার বিষয়ে বিশ্বকে বিশেষ ভাবে সচেতন করছেন নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাইয়ের ইকান স্কুল অফ মেডিসিনের এক এপিডেমিওলজিস্ট শানা সোয়ান (Shanna Swan)। কাউন্টডাউন (Countdown) নামে যে বই তিনি লিখেছেন, সেখানে এক আতঙ্ক জাগানোর মতো পরিসংখ্যান পেশ করেছেন শানা।

লেখিকা জানিয়েছেন যে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীর নিরিখে পুরুষদের শরীরে শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ কমে গিয়েছে ৫৯ শতাংশ। পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলোয় এই সমস্যা বিশেষ করে প্রকট করে উঠেছে। সেই হিসেবের সূত্র ধরেই তিনি দাবি করেছেন যে পৃথিবীর মধ্যভাগের দেশগুলোয় ২০৪৫ সালের মধ্যে অনেক পুরুষ পুরোপুরি ভাবে নির্বীর্য হয়ে পড়বেন। একই সঙ্গে, মহিলাদের সন্তানপ্রসব নিয়েও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন শানা। বলছেন যে ১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্ব উর্বরতা বা গ্লোবাল ফার্টিলিটি কমে গিয়েছিল ২.৪ শতাংশ। আপাতত সেই সংখ্যাটা এসে ঠেকেছে ২.১ শতাংশে।

এই প্রসঙ্গে শানা স্পষ্টতই দায়ী করেছেন নানা রকমের রাসায়নিকের ব্যবহারকে। তিনি জানিয়েছেন যে আমাদের সমাজে বর্তমানে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। ফলে ভ্রূণ যখন মাতৃগর্ভে একটু একটু করে শরীর নিচ্ছে, যখন তার মধ্যে পুরুষ সংক্রান্ত গুণাবলীগুলো বিকশিত হয়ে উঠছে, সেই সময় থেকেই মাতৃশরীরে রাসায়নিকের উপস্থিতির কারণে এই পৌরুষব্যঞ্জক দিকগুলি ধাক্কা খাচ্ছে, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে এবং সন্তান উৎপাদনের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছে পুরুষের শরীর। এক্ষেত্রে বিশেষ কোনও রাসায়নিকের দিকে আঙুল তোলেননি শানা। বলছেন যে কীটনাশক, নিরোধক, গবাদি পশু এবং সবজির বাড়বৃদ্ধির সহায়ক স্টেরয়েড- এই সবই যুগ্ম ভাবে পুরুষের শরীরে মাতৃগর্ভ থেকেই সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা সীমিত করে দিচ্ছে।

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Sperm Count