#নয়াদিল্লি: মাঝে কিছুটা স্বস্তি ছিল। ফের এবছর এপ্রিলের শুরু থেকে দেশে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে যার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের। এরাজ্যে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ হাজার ৯২৪ জন। দেশে করোনা পরিস্থিতি গত বছরের থেকেও খারাপ হতে শুরু করায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। অনেকেই তাই নিজেকে এই ভাইরাস থেকে বাঁচাতে ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে। কিন্তু এতেই হচ্ছে বিপত্তি, বলছেন চিকিৎসকরা।
করোনার বাড়বাড়ন্তের ফলে ফের একবার ঘরবন্দী মানুষজন। নিজেকে এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচাতে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে সকলে। কিন্তু রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাকৃতিক ভাবে বাড়ানোর বদলে অনেকেই হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক বা অন্যান্য ওষুধ খাচ্ছে যা আদৌ বৈজ্ঞানিক ভাবে পরীক্ষায় পাশ করা নয়। ফলে তাতে অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে লিভারের।
ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেস (ILBS)-এর ডিরেক্টর চিকিৎসক এস কে সারিন জানান, মানুষ ভাবছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াব, সেই তাগিদে একাধিক ওষুধ খাচ্ছে রোজ। যার মধ্যে কয়েকটি ভালো অবশ্যই কিন্তু তার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক বা অন্য কোনও এই ধরনের ওষুধে আদতে লিভারে ক্ষতি হতে পারে। কোভিড সারাতে গিয়ে হতে পারে লিভারের সমস্যা।
এর আগে দিল্লির AIIMS-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া চিকিৎসকদের বলেছিলেন, রেমডেসিভির (Remdesivir)-কে ম্যাজিক বুলেট ভেবে নেবেন না।
তিনি ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রেমডেসিভির আমাদের হাতে রয়েছে ঠিকই কিন্তু একে ম্যাজিক বুলেট হিসেবে ধরে নেওয়া উচিত নয়। এটা এমন কোনও ওষুধ নয়, যাতে মৃত্যুর হার কমতে পারে। আমরা এই ওষুধ প্রয়োগ করতে পারি যেহেতু বাজারে এই পরিস্থিতিতে এই চিকিৎসায় কোনও অ্যান্টি-ভাইরাল নেই বলে। তবে, কেউ যদি উপসর্গহীন হয় বা মৃদু উপসর্গ থাকে, তা হলে তাদের এই ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। খুব দেরি করেও এটি যদি প্রয়োগ করা হয়, তা হলেও কাজ করে না। ফলে ওষুধ দেখে প্রয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি।
এই দুই চিকিৎসক বাদেও অনেকেই বলছেন, এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হবেন না, আতঙ্কের বশে অজানা ওষুধ বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ সেবন করবেন না। এতে করোনার ভয়ে শরীরে অন্য সমস্যা আসতে পারে।
এদিকে, দেশে ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি খারাপ দেখে, ভারত থেকে এই মুহূর্তে পর্যটক আসা বন্ধ করেছে ব্রিটেন। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী এদেশের সফরও বাতিল করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ভারতে বসবাসকারী সব ব্রিটিশ বংশোদ্ভূতকে নিরাপদে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে চলছে লকডাউন। উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জেলাতেও বাইরে বের হওয়ার উপর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সকলকে মাস্ক পরার, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, Immunity