#কলকাতা: সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বেশি সময় কাটানোর কুপ্রভাব হাজার! এরমধ্যে অন্যতম, মানুষ ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এই বিষয়ে গোটা বিশ্বে অনেক সমীক্ষাই হয়েছে! এর মধ্যে সম্প্রতি প্রকাশিত 'অ্যাসোসিয়েশন অফ স্ক্রিন টাইম অ্যান্ড ডিপ্রেশন ইন অ্যাডোলেসেন্ট' নামে একটি পরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন, ঠিক কী কী কারণে এই অবসাদ তৈরি হয় এবং তার হাত থেকে কী ভাবে রেহাই পাওয়া সম্ভব!
সমীক্ষায় শরীর এবং মনের যোগসূত্রের উপরে সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। শরীর অবসন্ন থাকলে তার প্রভাবে নানা কাজে ব্যাঘাত ঘটে, পরিণামে অবসাদগ্রস্ত হয় মন- এটাই সমীক্ষার মূল সূত্র। বলা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে Facebook আর Instagram-এ অনেক রাত পর্যন্ত সময় কাটানোর ফলে আমাদের ঘুমের পরিমাণ স্বাভাবিক ভাবেই কমে যাচ্ছে। যার জেরে কাজে ঘটছে হরেক ভ্রান্তি, মেজাজও ভাল থাকছে না। পাশাপাশি রয়েছে আরও নানা কারণ--
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই নিজেকে অন্যের চেয়ে ভালো দেখাতে চায়। তাই অন্যদের ভালো থাকার পোস্ট ক্রমাগত দেখতে দেখতে মাথার মধ্যে গেঁথে যায়, 'আমি ভাল নেই' যা স্বাভাবিক ভাবেই অবসাদ বাড়িয়ে তোলে।
একাকিত্বের যন্ত্রণা-সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় দিলে বাস্তব জগতে মেলামেশা কমে আসে যা আমাদের একা করে দেয়। তার থেকেও তৈরি হয় মানসিক অবসাদ।
সাইবার উপহাস--অনেক সময়েই ব্যক্তিবিশেষের কোনও লেখা বা ছবি নিয়ে অন্যদের উপহাস করতে দেখা যায়। এতে মনের উপরে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বইকি!
কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনে কতটুকু সময় দেওয়া যায়, সেখানেই সারাক্ষণ পড়ে থাকলে চলবে না!
নো টু নোটিফিকেশন--নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখাই ভালো হবে। তাতে করে কে কখন কী করছেন নজরে আসবে না, বার বার সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে দেখতেও ইচ্ছে করবে না। বাস্তবের সঙ্গে যোগাযোগ-- পরিবার আর কাছের বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সুবিধে দুই রকমের- মনটাও ভাল থাকবে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার মতো সময়ও আপনা থেকেই কমে আসবে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Social Media