হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
মানসিক রোগের হেল্পলাইনে সবচেয়ে বেশি ফোন করছেন পুরুষরা, সমীক্ষায় চাঞ্চল্য

মানসিক রোগের হেল্পলাইনে সবচেয়ে বেশি ফোন করছেন পুরুষরা, সমীক্ষায় চাঞ্চল্য

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মানসিক স্বাস্থ্যের পুনর্বাসনের জন্য সমস্যার সম্মুখীন হয়ে সবচেয়ে বেশি ফোন করেন পুরুষরা। মন্ত্রকের হেল্পলাইনে সাহায্য চেয়ে সবচেয়ে বেশি ফোন আসে পুরুষদের, যা অনেকটা ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।

  • Last Updated :
  • Share this:

#নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে অতিমারির প্রভাবে মানসিক রোগের শিকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে অবাক করা পরিসংখ্যান দিচ্ছে দেশের সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রক। তাদের দাবি, মানসিক স্বাস্থ্যের পুনর্বাসনের জন্য সমস্যার সম্মুখীন হয়ে সবচেয়ে বেশি ফোন করেন পুরুষরা। মন্ত্রকের হেল্পলাইনে সাহায্য চেয়ে সবচেয়ে বেশি ফোন আসে পুরুষদের, যা অনেকটা ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে ওঠা এই হেল্পলাইন নম্বরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। এই ৭০ শতাংশ পুরুষের মধ্যে ৩২ শতাংশই আবার পড়ুয়া।

সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রকের অধীনে এই কিরণ হেল্পলাইন নম্বর (1800-599-0019) টি গড়ে উঠেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০। সেখানকারই একটি আভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার ৫৫০টি ফোন এসেছে। এর মধ্যে ৭০.৫ শতাংশ ফোন করেছেন পুরুষরা, বাকি ২৯.৫ শতাংশ ফোন করেছেন মহিলারা। এর পর ১৬১৮টি ফোন বিশেষজ্ঞরা পাল্টা করেছেন তাঁদের সাহায্য করার জন্য।

বেশিরভাগ কলারদের মধ্যে ৭৫.৫ শতাংশই হল ১৫ থেকে ৪০ বছরের পুরুষ। মাত্র ১৮.১ শতাংশ পুরুষ ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এই কলারদের মানসিক অবসাদের স্টেজ অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৬৫.৯ শতাংশ 'হালকা অবসাদগ্রস্ত'। ২৬.৫ শতাংশ তার চেয়ে খানিকটা বেশি। ৭.৫ শতাংশের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। ৩২.৩ শতাংশ কলার পড়ুয়া, ১৫.২ শতাংশ ব্যবসায়ী বা নিজেদের প্রতিষ্ঠান চালান এবং ২৭.১ শতাংশ চাকুরিজীবী। ২৩.৩ শতাংশ বেকার এবং ১.৪ শতাংশ বাড়ির কাজে নিযুক্ত। ০.৭ শতাংশ নিজেদের কাজের জায়গা উল্লেখ করেননি।

এঁদের মধ্যে ৭৮.২ শতাংশ কলার নিজেদের জন্য সাহায্য চেয়েছেন। বাকিরা নিজেদের বাবা-মায়ের জন্য সাহায্য চেয়ে ফোন করেছেন মন্ত্রকের হেল্পলাইন নম্বরে। কলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারাত্মক উৎকণ্ঠার শিকার। ২৫.৫ শতাংশ অবসাদগ্রস্ত, বাকিরা অতিমারির ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। ২.৮ শতাংশ আত্মহত্যাপ্রবণ। বাকিরা কোনও ভাবে হেনস্থা ও বাকিরা নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত।

সবচেয়ে বেশি ফোন এসেছে দেশের উত্তর ভাগ থেকে। প্রায় ৪০.৩১ শতাংশ। এর পর পশ্চিম থেকে ২৭.০৮ শতাংশ, দক্ষিণ থেকে ১৬.৯৯ শতাংশ, পূর্ব থেকে ১১.২৮ শতাংশ এবং উত্তর-পূর্ব থেকে ৪.৩৩ শতাংশ। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ফোনের সংখ্যা বেড়ে যোগ হয়েছে ১৫ হাজার ১৭০ টি কল। এর মধ্যে ১৯৭৮টি ফলো আপ কল। মন্ত্রকের এই ফোন নম্বরে ফোন করলে যে কেউ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ২৪/৭ এই নম্বরে ফোন করার সুযোগ রয়েছে। ৮১ জন মানসিক রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন এখানে।

Published by:Raima Chakraborty
First published:

Tags: Mental Health