শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বের মহিলাদেরই প্রধান সমস্যা হল ব্রণ। চিকিৎসকরা বলেন, মানসিক চাপ, অত্যধিক সিবাম উৎপাদন, ত্বকের ছিদ্র মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে ব্রণ বেশি হয়। হাজার ক্রিম, ওষুধ লাগিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয় না। তবে আয়ুর্বেদে এর সহজ সমাধান রয়েছে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ব্রণ নিরাময়ে ৮টি ফেসপ্যাকের হদিশ দেওয়া হল এখানে।
শঙ্খভস্ম:
শঙ্খভস্ম একটি আয়ুর্বেদিক ফর্মুলা। এটা তৈরি হয় শামুকের খোল থেকে। ব্রণপ্রবণ ত্বকে এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এতে প্রাকৃতিক অ্যালকালাইজার আছে, যা ব্রণর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এক চামচ শঙ্খভস্ম (অনলাইনে পাওয়া যাবে) জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে।
হলুদ, গোলাপ জলের মাস্ক:
হলুদে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই গুণগুলি ত্বক শান্ত রাখে। পাশাপাশি পিগমেন্টেশন, কালো দাগ এবং ব্রণ নিরাময় করে। এক টেবিল চামচ হলুদের সঙ্গে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে। এটা শুধু ব্রণ নিরাময় করবে তাই নয়, ত্বকে বাড়তি উজ্জ্বলতা যোগাবে সঙ্গে প্রাকৃতিক আভা এনে দেবে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় চুলের খুসকির সমস্যায় জেরবার? রইল সহজ ঘরোয়া টোটকা
তুলসি পাতার মাস্ক:
ত্বকচর্চায় তুলসির ব্যবহার বহু প্রাচীন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্টের কারণে তুলসি ব্রণ নিরাময় এবং প্রদাহ কমাতে পারে। এ জন্য কয়েকটা তুলসি পাতা গুঁড়ো করে মুখে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে সাধারণ জলে। এটা নিয়মিত করলে হাতেনাতে ফল মিলবে।
রোজশিপ তেল:
এক চা চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে ৩ ফোঁটা রোজশিপ তেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে। রোজশিপ তেল শুধু ব্রণর বিরুদ্ধেই লড়াই করে না, ত্বককে পুষ্টি এবং উজ্জ্বলতা যোগায়। রোজশিপ তেলে প্রচুর লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে যা সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, ফলে ত্বকে ব্রণর ব্রেকআউট কমিয়ে দেয়।
নিম পাতার পেস্ট:
অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-নফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির উপস্থিতির কারণে ব্রণ-প্রবণ ত্বকে নিম ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ব্রণ নিরাময়ের জন্য আয়ুর্বেদে নিমের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এজন্য শুধু কিছু নিম পাতা গুঁড়ো করে পেস্টের মতো মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
পেঁপের মাস্ক:
পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন এনজাইম ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। এটাই ব্রণ কমায়। পেঁপে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে এবং অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর মাস্ক তৈরি করতে কয়েক টুকরো পেঁপে ভালো করে পিষে মুখে লাগাতে হবে।
মধুর মাস্ক:
ত্বকে অসমোটিক প্রভাব বিস্তার করতে পারে মধু। ফলে প্রদাহ কমে। ব্রণতে কয়েক ফোঁটা মধু লাগালে কিছুক্ষণের মধ্যেই লালভাব কমতে শুরু করবে। মধুর তীব্র ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যের কারণে এই মাস্ক লাগানোর পরে ময়েশ্চারাইজার লাগানোরও দরকার পড়বে না।
লেবু, মধুর মাস্ক:
এক টেবিল চামচ লেবুর রসে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে ব্রণতে লাগাতে হবে। লেবুতে রয়েছে এএইচএ এবং বিএইচএ যা মৃত ত্বকের কোষগুলিকে অপসারণ করতে সাহায্য করে। ফলে ব্রণ নিরাময় হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Skin Care