ত্বক বিশেষজ্ঞরা প্রাকৃতিক তেলযুক্ত পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এর অনেক কারণ আছে। অনেকে মনে করেন, মুখের তেল শুধু শুষ্ক ত্বকের জন্য। এটা ভুল ধারণা। সঠিক মুখের তেল সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। শুধু তাই নয়, শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটা মুখে প্রাকৃতিক আভা এনে দেয়। ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
সব ধরনের ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করা যায়। তবে সব ধরনের ত্বকের জন্য আলাদা আলাদা তেলও রয়েছে। সংবেদনশীল ত্বক বা যাদের খুব বেশি ব্রণ হয় তাঁদের ফেস অয়েল এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়। কিন্তু সঠিক তেল বেছে নিতে পারলে কোনও ভয় নেই। এমনকী ব্রণও নিরাময় হয়। স্বাস্থ্যকর চেহারা এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ত্বকের ধরন অনুযায়ী মুখে ব্যবহার করা যায় এমন কয়েকটি তেলের তালিকা এখানে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: বাড়ির মেয়ে আর ফিরবে না, মজিলপুরে অবহেলায় একা নির্মলা মিশ্রর বসতভিটে
সাধারণ ত্বকে: যে তেল খুব বেশি ভারি নয় তাই সধারণ ত্বকের জন্য আদর্শ। তবে এই ধরনের ত্বকে নারকেল তেল বিস্ময়কর কাজ করে। এতে কোলাজেন গঠন এবং অ্যান্টিএজিং গুণাবলী সহ বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। এটা ত্বককে আরও স্থিতিস্থাপক করে তোলে, যা বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং সূক্ষ্মরেখা এবং বলিরেখা হ্রাস করে। জোজোবা তেল এবং মারুলা তেলও এই ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: অর্পিতা আপনার ঘনিষ্ঠ? ৩১ জীবনবিমার নমিনি পার্থর ইডিকে জবাব, 'শুধু পুজোর সময় দেখেছি'!
সংবেদনশীল ত্বকে: মরিঙ্গা এবং অ্যালোভেরা তেলের মতো হালকা তেল সংবেদনশীল ত্বকে ভালো কাজ করে। শুধু তাই নয়, সংবেদনশীল ত্বকে এই তেল নিয়মিত লাগালে ব্রণ নিরাময় হয়, জ্বালা এবং লালভাব কমে। মরিঙ্গা তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী ফ্রি র্যাডিকেল দূর করতে এবং অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলোকে গোড়াতেই রুখে দেয়। অন্য দিকে, অ্যালোভেরায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে, তৈলাক্ত ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ব্রণ দূর করে।
শুষ্ক ত্বকে: নারকেল তেল, বাদাম তেল এবং অ্যাপ্রিকট কার্নেল তেল শুষ্ক, নিস্তেজ ত্বকের জন্য দুর্দান্ত। এই তেলগুলিতে অলিক অ্যাসিড থাকে, যা আর্দ্রতা সিল করে ত্বকের নিস্তেজতা, লালভাব এবং শুষ্কতা কমায়। বাদাম তেলে উপস্থিত ভিটামিন এ শুষ্ক ত্বকে সূক্ষ্ম বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। একজিমার মতো শুষ্ক ত্বকের সাধারণ ব্যাধিগুলি নিরাময়ে এই ধরনের তেলের জুড়ি নেই।
তৈলাক্ত ত্বক: খুব বেশি চর্বিযুক্ত নয় এমন হালকা ওজনের তেল তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চমৎকার। এই ধরনের ত্বকের জন্য সেরা তেলগুলির মধ্যে রয়েছে আর্গান তেল, আঙ্গুরের তেল এবং চা গাছের তেল। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট গুণাবলীর কারণে এই তেলগুলি ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ছিদ্রমুখ খুলে দেয়।
কম্বিনেশন ত্বকে: এই ধরনের ত্বকে মারুলা, জোজোবা এবং ফ্ল্যাক্সসিড তেল কার্যকর। এগুলো ত্বককে আর্দ্র রাখতে এবং ব্রণ থেকে রক্ষা করে। সকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আগে এই তেল লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Skin Care, Skin Care Tips