#কলকাতা: বিবাহ নামের সামাজিক প্রতিষ্ঠানটি যে ভর দিয়ে থাকে যৌনতায়, সেটা অস্বীকার করা যায় না। তেমনই এটাও অস্বীকার করা যায় না যে ভারতীয় সমাজে বহু মা-বাবাই প্রত্যক্ষ ভাবে তাঁদের সন্তানের এই বৈবাহিক সম্পর্কটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। তাঁরা চান, সন্তান তাঁদের পছন্দমতো জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর সঙ্গে সংসার গড়ে তুলুক! এই পর্বে জনৈক পাঠক প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়ালের কাছে- এই নিয়ন্ত্রণের ঘটনাকে কি আদৌ স্বাভাবিক বলা যায়? যদি সন্তানের বা-বাবার সিদ্ধান্ত অসঙ্গত বলে মনে হয়, তবে এর প্রতিকারের উপায়ই বা কী?
সবার প্রথমে পল্লবী এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন যে এর জন্য কিছু মা-বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করা কখনই উচিৎ হবে না। কেন না, তাঁরা সামাজিক ধারণার বশবর্তী হয়েই সন্তানের মঙ্গলের জন্য এ হেন পদক্ষেপ করতে চান। তাঁরা নিজেরা যেহেতু একটি প্রচলিত সামাজিক কাঠামোর মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছেন, সেটিকে মান্যতা দিয়েই গড়ে তুলেছেন নিজেদের বৈবাহিক জীবন, সুখীও হয়েছেন কার্যত, সেই জন্যই তাঁরা সন্তানের জন্যও একই ভাবে ভবিষ্যৎ জীবনের রূপরেখাটি স্থির করে দিতে চান। আসলে অনেক মা-বাবারই এটা মেনে নিতে অসুবিধা হয় যে সন্তান একজন পূর্ণবয়স্ক সামাজিক প্রতিনিধি, কিছু সিদ্ধান্ত তার উপরেই ছেড়ে দেওয়াটা ঠিক হবে। একেবারে ছোট থেকে নানা ভালো এবং মন্দের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে সন্তানকে বড় করে তোলেন তাঁরা, সেই কারণেই তার বিবাহ এবং যৌন সম্পর্কের ব্যাপারেও তাঁরা নিজস্ব মতামত পোষণ করতে চান। তাঁরা চান না যে তাঁদের সন্তান সামাজিক দিক থেকে কোনও রকমের অসুবিধার শিকার হোক!
এটা ঠিক যে বর্তমানে বিবাহ নামের প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্ব কতটা, সে নিয়ে একাধিত বিতর্ক চলছে। ভারতে ধীরে ধীরে বিয়ে না করেও এক ছাদের তলায় থাকা এবং যৌন সম্পর্ক বজায় রাখার মতো ঘটনা স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে। বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসা অথবা বিয়ে না-করা একা মায়ের সংখ্যাও সমাজে বেড়েছে। আবার যদি সমকামী সম্পর্কের কথা ধরা যায়, সে নিয়েও সমাজে আন্দোলন বাড়ছে, ধীরে ধীরে নতুন প্রজন্মের অনেকেই তাঁদের যৌন পছন্দ-অপছন্দের কথা মা-বাবার কাছে খোলাখুলি বলতে শুরু করেছেন। কিন্তু যে ভাবেই দেখা হোক না কেন, প্রচলিত সামাজিকতার বিপরীতে থাকা এই সব সম্পর্কের জন্যই একটা লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। সন্তানকে যাতে সমাজের কাছ থেকে আঘাত পেতে না হয়, যাতে তার জীবন সুখের হয়, সেই জন্যই আতঙ্কিত মা-বাবারা তাঁদের জীবনের এই দিকটিও নিয়ন্ত্রণ করতে চান বলে জানিয়েছেন পল্লবী।
কিন্তু সেই নিয়ন্ত্রণ যে সন্তানের পছন্দ হবে, সেটা যে তার পক্ষে মঙ্গলময় হবেই, এমন কোনও মানে নেই! তাই পল্লবীর পরামর্শ- এক্ষেত্রে মা-বাবার সঙ্গে একটা আলোচনায় বসা এবং নিজের অসুবিধার কথা তাঁদের ঠাণ্ডা মাথায় বোঝানো ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই! তাঁরা মেনে নিলে ভালো, না মেনে নিলে তাঁদের অসন্তুষ্টিকে শিরোধার্য করেই পদক্ষেপ করতে হবে!
Pallavi Barnwal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Marriage, Sexual Tips, Sexual Wellness