#কলকাতা: বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল একটা কথা বার বার বলতে ভোলেন না- যৌনতা নিঃসন্দেহেই একটি শারীরিক ব্যাপার, কিন্তু আদতে এক্ষেত্রে শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে মন! মন যা চাইছে, যেমন ভাবে চাইছে, ঠিক তেমন করেই জনৈক ব্যক্তি রতিক্রীড়ায় লিপ্ত হয়। মনের নির্দেশ মতোই সে সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে তৃপ্ত করে, নিজেও পৌঁছে যায় রতিসুখের শিখরে। বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে কল্পনার একটি বড় ভূমিকা থাকে। কল্পনা যথেষ্ট রকম সক্রিয় না হলে দিনের পর দিন আলাদা আলাদা ভাবে রতিক্রীড়ার প্রশ্নই ওঠে না! বলা যেতে পারে, এই কল্পনাই যৌনতার আবহকে রোমাঞ্চে পরিপূর্ণ করে তোলে।
এই দিক থেকে রোল প্লেয়িং ব্যাপারটারও একটা ভূমিকা থাকে। অর্থাৎ সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে চেনার একঘেয়েমি কাটাতে তাঁকে অন্য কেউ বলে কল্পনা করে নেওয়া। রোল প্লেয়িংয়ের ক্ষেত্রে দুই পক্ষকেই পরস্পরের চাহিদামতো ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায়। কিন্তু যদি স্বাভাবিক রতিক্রীড়ার সময়েই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অন্য কারও মুখ? সঙ্গী বা সঙ্গিনীর পরিচিত কাউকে কল্পনা করতে ইচ্ছা করে? এই ব্যাপারটাকে কি স্বাভাবিক বলা যায়?
পল্লবী জানাচ্ছেন যে তাকে একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই গণ্য করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি নাম প্রকাশ না করে এক যুবকের কথা তুলে ধরেছেন। ওই যুবকের বক্তব্য- যৌনতার মাঝে স্ত্রীকে অন্য কোনও নারী না ভাবলে তাঁর উত্তেজনা আসে না। তিনি তাঁর স্ত্রীর বৃত্তের পরিচিত কোনও মহিলাকে এক্ষেত্রে কল্পনা করে থাকেন, তাঁর নাম ধরে স্ত্রীকে সম্বোধন করেন। স্ত্রী এ ব্যাপারে কিছু মনে না করলেও রতিক্রীড়ার শেষে ব্যাপারটা যুবকের মনে অপরাধবোধের জন্ম দেয়।
অনেকেই যে রতিক্রীড়ার সময়ে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর জায়গায় অন্য কাউকে কল্পনা করে থাকেন, সে কথা বলছেন পল্লবী। বলতে ভুলছেন না যে এটা মানুষের স্বভাবের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু এটাই যদি ফেটিশ বা যৌন ইচ্ছা হয়, সে ক্ষেত্রে সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সেটা খুলে বলতে হবে। তিনি কী ভাবে বিষয়টাকে গ্রহণ করছেন, সেটাও বুঝতে হবে। যদি তিনি এক্ষেত্রে অপমানিত বোধ করেন, তা হলে নিজেকে সংযত করাই উচিৎ হবে বলে দাবি পল্লবীর। না হলে তার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
Pallavi Barnwal