Purple Day 2021: অসুখ সংক্রান্ত যে সব আন্তর্জাতিক দিন স্থির হয়েছে, তার অনেকগুলোরই মূলে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে সারা বিশ্বে খুব কম করে হলেও ৫০ মিলিয়ন এপিলেপটিক বা মৃগীরোগী থাকলেও এই রোগ নিয়ে সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। তার পরেও যে প্রতি বছর ২৬ মার্চ মৃগীরোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড পারপল ডে উদযাপিত হয়, তা শুধুমাত্র এক নারীর অবদান।
২০০৮ সালে কানাডার নোভা স্কটিয়ার ক্যাসিডি মেগানের (Cassidy Megan) হাত ধরে এই দিনটির উদযাপন শুরু হয়। মাত্র ৯ বছর বয়সে ক্যাসিডি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাই সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি পদক্ষেপ করতে চান। সেই মতো ওই বছরের ২৬ মার্চ প্রথম বিশ্বে এই দিন উদযাপিত হয়। এর পরের বছর এপিলেপসি অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য মেরিটাইমস এবং অনিতা কফম্যান ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দিনটি উদযাপিত হতে থাকে।
সত্যি বলতে কী, তার প্রয়োজনও ছিল। কেন না, এপিলেপসি বা মৃগীরোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সমাজের অনেক স্তরেই নানা ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। গ্রামাঞ্চলে এই স্নায়ুর অসুখকে অনেক ক্ষেত্রেই অতিলৌকিক উৎপাত ভেবে ঝাড়ফুঁকের সাহায্যে সুস্থ করতে চেয়ে রোগীর জীবন বিপন্ন করে তোলা হয়। অনেকের আবার ধারণা যে এই রোগটি ছোঁয়াচে। আদতে মস্তিষ্কে ইলেকট্রিক্যাল ডিস্টারবেন্সের জন্য এই অসুখ হয়ে থাকে এবং রোগী অজ্ঞান হয়ে যান! কিন্তু এই এপিলেপসি অ্যাওয়ারনেস ডে কী ভাবে বদলে গেল পারপল ডে-তে?
সমীক্ষা বলে যে এই রংটি না কি বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষেরই পছন্দের। মনস্তাত্ত্বিক সমীক্ষায় এটাও দেখা গিয়েছে যে যাঁরা এই রং পছন্দ করেন, তাঁরা সচরাচর দয়ালু প্রকৃতির হন, অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তাঁরা দ্বিধা করেন না। সে কথা মাথায় রেখে জনসচেতনতার লক্ষ্যে এই দিনটিকে ওয়ার্ল্ড পারপল ডে নামে অভিহিত করেন উদ্যোক্তারা।
ভয়ের কারণ থাকলেও সংযত জীবনযাত্রা এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিপরীতে, কয়েকটি কারণে বাড়তে পারে অ্যাটাকের সম্ভাবনা।
১. ঘুম কম হলে মৃগীর সম্ভাবনা বাড়ে।
২. পেট ভরে না খেলে অ্যাটাক হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি, উত্তেজনা, অবসাদ অ্যাটাকের নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করে।
৪. ঋতুচক্রকালীন সময়ে, হরমোনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অ্যাটাক হতে পারে।
৫. নির্দিষ্ট ক্রনিক অসুখ বা জ্বর অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অনেক ক্ষেত্রে।
৬. একটানা কমপিউটারে কাজ করলেও অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে, প্রখর সূর্যালোকও বিপদ বাড়াতে পারে।
৭. ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ নিয়মিত না খেলে বিপদের সম্ভাবনা থাকে।
৮. ডাক্তার না দেখিয়ে দোকান থেকে ইচ্ছে মতো ওষুধ কিনে খেলেও হিতে বিপরীত হতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।