হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
এই সমস্যাগুলো থাকলেই বুঝতে হবে হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা প্রবল, দেখে নিন চট করে!

এই সমস্যাগুলো থাকলেই বুঝতে হবে হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা প্রবল, দেখে নিন চট করে!

বয়সজনিত কারণে অনেকেই হার্ট ফেলিওরের শিকার হন। তবে অল্প বয়স্করা, যাঁদের ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের মতন রোগ রয়েছে তাঁরাও হার্ট ফেলিওরের শিকার হতে পারেন।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও দিনের পর দিন হৃদযন্ত্রঘটিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাইপারটেনশন, করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ- এই সব অসুবিধা যাঁদের মধ্যে রয়েছে তাঁরাই হার্ট ফেলিওরের বেশি শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা কাজের প্রেসার, স্ট্রেস প্রভৃতি কারণে রক্তচাপের সমস্যা এবং অনিয়িন্ত্রিত জীবনযাপনও মানুষের হার্ট ফেলিওরের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি এবং কারণ:

বয়সজনিত কারণে অনেকেই হার্ট ফেলিওরের শিকার হন। তবে অল্প বয়স্করা, যাঁদের ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের মতন রোগ রয়েছে তাঁরাও হার্ট ফেলিওরের শিকার হতে পারেন। এ ছাড়াও কারও পরিবারে আগে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ইতিহাস থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম এই দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।

হার্ট ফেলিওরের লক্ষণ:

১. এনার্জিতে ঘাটতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতা অনুভব

২. শ্বাস নিতে কষ্ট৩. পায়ের তলায় ঘাম হওয়া৪. শ্বাসকষ্টের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত৫. রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ট পাম্পিং-এর কাজ দুর্বল হয়ে পড়লেই হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা দেখা যায়। নিউ ইয়র্ক হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর মত অনুযায়ী হার্ট ফেলিওরকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। স্টেজ ১ এবং স্টেজ ২-কে প্রি-হার্ট ফেলিওর অধ্যায় বলা যায়। যে সব হার্ট ফেলিওর রোগীদের হৃদযন্ত্রঘটিত দুর্বলতা আছে তাঁদের স্টেজ ৩-এ রাখা যায়। আর যাঁরা হার্ট ফেলিওরের প্রবল সম্ভাবনার শিকার তাঁদের স্টেজ ৪-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, সঠিক চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমেই হার্ট ফেলিওরের মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি সম্ভব। হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট, এলভিএডি ইমপ্ল্যান্টেশন পদ্ধতির মাধ্যমেও হার্ট ফেলিওরের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা সম্ভব।

হার্ট ফেলিওরের হাত থেকে বাঁচার উপায়:

হৃদযন্ত্রঘটিত দুর্ঘটনার থেকে বাঁচতে গেলে মানুষের একটা সুন্দর জীবনযাপনের অভ্যাস করা প্রয়োজন। তাই এই নিয়মগুলো মেনে চলা বাধ্যতামূলক:

১. ধূমপায়ীদের সিগারেট ছেড়ে দেওয়া, ড্রাগ-এর মতো মাদক ত্যাগ করা।২. সৃষ্টিশীল বিভিন্ন কাজ নিয়ে মেতে থাকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।৩.নিয়মিত সুষম খাবার খাওয়া যা শরীরকে পুষ্টি যোগাবে।৪. আর অবশ্যই হার্ট ফেলিওরের লক্ষণ এবং কারণগুলি নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকা।

Published by:Dolon Chattopadhyay
First published:

Tags: Heart Attack