#মস্কো: নব্বইয়ের দশকের কার্টুন নেটওয়ার্ক (Cartoon Network) শৈশবকে যতটা আলোড়িত করেছিল, ততটা উচ্ছ্বাস এখন আর কোথায়! সন্ধ্যা হতেই টিভির পর্দায় মুগ গুঁজে পড়ে থাকা! লেখাপড়া লাটে ওঠার জোগাড় দেখে বাবা-মায়ের বকুনির দৃশ্য চোখের সামনে ভিড় করে আসে। জীবন্ত হয়ে ওঠে সেই সময়কার কিছু অ্যানিমেটেড চরিত্র, যা বর্তমান সময়েও প্রাসঙ্গিক। তাদেরই অন্যতম সেলর ম্যান (Sailor man) পপেয়ের (Popeye) প্রেমে পাগল হয়ে রাশিয়ার এক এমএমএ ফাইটার এমন কাজ করলেন যে তাঁর ঠাঁই হল সোজা হাসপাতালে...
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র পপেয়েকে আদর্শ করেই বেড়ে উঠেছেন নব্বইয়ের দশকে শৈশব পেরনো রাশিয়ার কিরিল টেরেসিন (Kirill Tereshin)। পেশাদারি জীবনেও তিনি ফাইটারই হয়েছেন। তবে অনেক চেষ্টা করেও প্রিয় কার্টুন চরিত্রর মতো বডি বানাতে পারেননি কিরিল। সেটাকে তিনি অপমান হিসেবেই দেখতে শুরু করেন। ফলে কার্যত জেদ করেই মাথায় এক দুর্দান্ত এবং বিপজ্জনক ফন্দি এঁটে ফেলেন রাশিয়ান যুবক। কিন্তু তাতে যে তিনি নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তা বিন্দুমাত্র টের পাননি ।
জিমে গা ঘামিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পেরে কী করলে কার্যসিদ্ধি হবে, তা নিয়ে রীতিমতে গবেষণা শুরু করেন কিরিল। শেষে ইন্টারনেট ঘেঁটে তিনি জানতে পারেন, শরীর ফোলানোর মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে পেট্রোলিয়াম জেলি (Petroleum Jelly)। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। নিজের দুই দিকের উর্ধ্ব বাহুতে ওই রাসায়নিক ইঞ্জেক্ট করেন রাশিয়ার ফাইটার। তাতেই কেল্লা ফতে। গোদের মতো ফুলে যায় হাত। ঠিক পপেয়ের মতোই ২৪ ইঞ্চির বাইসেপসের অধিকারী হন কিরিল।
View this post on Instagram
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে কিরিলের শরীরে এই অস্ত্রোপচার করে তাঁর দুই হাতে তিন লিটার পেট্রোলিয়াম জেলি প্রয়োগ করা হয়। এই কাজের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সেলেব্রিটির তকমা পেয়েছিলেন রাশিয়ান যুবক। কিন্তু অচিরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে বলেও জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয় যে কিরিলের শরীরে ফের অস্ত্রোপচার করে পেট্রোলিয়াম জেলি বের করে আনা হয়।
এর পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ কসরৎ করতে হয় রাশিয়ান ফাইটারকে। শোনা গিয়েছে, দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পর রিংয়ে নেমেই প্রথম লড়াই হেরে যান কিরিল। মাত্র তিন মিনিটে নিজের থেকে ২০ বছরের ছোট ফাইটারের বিরুদ্ধে ধরাশায়ী হয়ে যান। নিজেকে নতুন করে তৈরি করতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায় কিরিলের।