#নয়াদিল্লি: সাম্প্রতিক কালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উন্নয়নের কারণে ইন্টারনেট আট থেকে আশি সকলের হাতের নাগালে চলে এসেছে। বড়দের পাশাপাশি আজকাল ছোটরাও অনায়াসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে অন্য যে কোনও বিষয়ে ট্যাবলেট, ফোন, কম্পিউটার এবং অন্যান্য গ্যাজেট শিশুদের সারা দিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। এ কথা ঠিক যে, বর্তমানে যে কোনও তথ্যের জন্য বড়দের এবং শিশুদের ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে বয়স অনুযায়ী কিছু বিষয়ে জানা কখনও কখনও ছেলেমেয়েদের মানসিক স্তরে প্রভাব ফেলতে পারে! যদিও বেশির ভাগ বাবা-মা সন্তানের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্নই থাকেন। তবে শিশুর ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়ের চেয়েও তারা ইন্টারনেটে কী দেখছে, সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা যায়, যতটা সময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার করুক না-কেন, ব্যবহৃত বিষয়ের গুণমানকে অগ্রাধিকার দেওয়াই সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহারের চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: ছটফট করছে মুরগিরা, খাঁচার মধ্যে ওটা কী? চক্ষু চড়কগাছ! ছুটে এল বন দফতরের কর্মীরা
প্রথমেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় যে শিশুরা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে, সে সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। বিষয়বস্তুর ঝুঁকি, আচরণের ঝুঁকি, উপভোক্তা ঝুঁকি এবং যোগাযোগের ঝুঁকি হল চারটি প্রধান ঝুঁকি, যার সম্মুখীন হতে পারে সন্তান। এগুলি ছাড়াও গোপনীয়তার ঝুঁকি এবং উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি হুমকিগুলিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যা সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এক্ষেত্রে মা-বাবাকেও বুঝতে হবে যে, বাস্তবিক জগতের মতো, ভার্চুয়াল জগতেও নিরাপত্তা এবং সীমানা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সঠিক ইন্টারনেট নিরাপত্তার দক্ষতা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি ইন্টারনেটের কোনও বার্তায় সন্তানের উদ্বেগ কিংবা ভয়ের অনুভূতি হলে শিশুর অবিলম্বে সতর্ক থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: এই থালায় খেয়েই ওজন কমিয়েছেন ভূমি পেডনেকর, জানুন
আবার শিশুদের ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সঠিক সীমানা নির্ধারণও খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়ে খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না-করা, কোনও বার্তা খুব বেশি আবেগের উদ্রেক করলে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া এবং কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সমালোচনামূলক ভাবে চিন্তা করার নিয়ম মেনে চলা উচিত। পাশাপাশি বাবা-মায়েরা সন্তানের যন্ত্রে কোনও নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর অনলাইন ব্যবহার বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে সন্তানের গোপনীয়তা যাতে কোনও ভাবে নষ্ট না-হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে মিলিত ভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।