#কলকাতা: সাজসজ্জা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টা লিঙ্গ ভিত্তিক হয় না। আবার তার জন্য মেক-আপ করা অথবা দামি পারফিউম মাখা কিংবা ডিজাইনার পোশাকও পরতে হয় না। আসলে নিজেকে সাজানোর সহজ অর্থ হল, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, যা আমাদের উপস্থাপনযোগ্য, স্বাস্থ্যকর এবং ফিট রাখতে সাহায্য করবে। যদিও বলা হয় যে, যিনি দেখছেন সেই দর্শকের চোখেই সৌন্দর্য থাকে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, নিজেকে পরিষ্কার ও সুন্দর রাখার প্রয়োজন নেই!
মনে রাখবেন, যথাযথ পরিচ্ছন্নতা এবং সাজসজ্জা শুধুমাত্র আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায় না, একই সঙ্গে সমাজে লজ্জিত হওয়ার হাত থেকেও বাঁচায়। কিন্তু আজকাল ব্যস্ততা এবং খারাপ জীবনযাপন বা লাইফস্টাইলের কারণে প্রায়ই নিজের প্রতি যত্ন নিতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে অবহেলা করতে দেখা যায় মানুষকে। যা থেকে দাঁতের ক্ষয়, শ্বাসকষ্ট এবং ত্বকের সমস্যা হতে পারে, আর এখান থেকেই বিভিন্ন সমস্যার সূত্রপাত হয়। তা হলে দৈনন্দিন জীবনে কী ভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে, তা জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: Bollywood|Gossip: ৪৭ বছরেও আগুন ঝরাচ্ছেন সুন্দরী কাজল! ত্বকের জেল্লাতেই বাজিমাত, গোপন রহস্য জানেন?
স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য: হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে দু’বার আমাদের মুখ পরিষ্কার করতে হবে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য প্রচুর পরিমাণে জল এবং তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেক-আপ পরিষ্কার করা এবং ঘর থেকে বেরোনোর সময় সব সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। পরিমিত ঘুমের সঙ্গে আপোষ করলে চলবে না। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে। এ ছাড়াও ব্রণ, ত্বকে ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা এড়াতে সব সময় পরিষ্কার বালিশ এবং বালিশের কভার, গদি এবং কমফোর্টার/কম্বলে ঘুমাতে হবে।
ঝলমলে চুলের জন্য: প্রথমত মুখ এবং লাইফস্টাইলের সঙ্গে মানানসই চুলের স্টাইল বেছে নিতে হবে, যাতে চুলে নিয়মিত তেল এবং শ্যাম্পু করা যায়। দ্বিতীয়ত, চুলের আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার ভালো মানের শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য সব সময় সঠিক চিরুনি ব্যবহার করাটাও জরুরি এবং চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দিতে ঘন ঘন তেল দিতে বা হেয়ার মাস্ক লাগাতে ভুললে চলবে না৷
সুগন্ধে সতেজ থাকতে হবে: ভালো স্বাস্থ্যবিধির প্রথম শর্ত হল গন্ধ। তাই ভালো গন্ধের বডি ওয়াশ দিয়ে প্রতি দিন স্নান করতে হবে। এটি শরীর ও মনকে পরিষ্কার এবং তরতাজা রাখবে। তবে অহেতুক খুব গাঢ় গন্ধের পারফিউম অথবা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার না-করাই ভালো। সে ক্ষেত্রে মৃদু গন্ধযুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করাই শ্রেয়।
নখের যত্ন: কারওর সঙ্গে হাত মেলাতে অথবা স্বাভাবিক কথোপকথনের সময়ে নখ নজরে চলে আসে। তাই হাতের স্বাস্থ্যবিধিও বজায় রাখটা সমান ভাবে জরুরি। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিয়মিত নখ কাটা, ফাইল করা এবং নখ পরিষ্কার রাখতে হবে। যদিও পায়ের নখ কিছু নির্দিষ্ট জুতো পড়লেই দেখা যায়, তাই পায়ের নখের যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক পনেরো দিন অন্তর ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর করতে পারলে ভালো।
আরও পড়ুন: Winter: একটু উষ্ণতার ছোঁয়া, এই বদলগুলিতেই আপনার ঘর এবারের শীতে 'হটস্পট'!
পোশাক ও জুতো: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ডিজাইনার পোশাক অথবা দামি জুতো পরতে হবে, এর কোনও মানে নেই। শুধু পরিষ্কার, আরামদায়ক এবং অনুষ্ঠান বুঝে পোশাক ও জুতো পরতে হবে। তবে পোশাক যাতে ঠিক মতো ইস্ত্রি করা থাকে এবং জুতো ও মোজা যাতে ঝকঝকে থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Life Style