#কলকাতা: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের প্রসঙ্গ উঠলে তালিকায় সবার আগে উঠে আসে ডিম। কারণ এটি সহজেই রান্না করা যায়। এর পুষ্টিগুণও অসম্ভব। কিন্তু ওজন কমানোর ডায়েটে ডিমের ব্যবহার বা ডিম রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই নানা ধরনের ভুল হয়ে যায়। যাতে ওজন কমার বদলে উলটে নানা সমস্যা দেখা যায়। তাই কয়েকটি সাধারণ ভুলে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এর জেরে ওজন কমার পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকে।
১. ডিমের কুসুম বাদ
২. ডিম রান্না করতে গিয়ে সঠিক তেলের ব্যবহারডিম রান্না করতে গিয়ে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। অনেককেই আবার অল্প বাটার দিয়ে ডিমের তরকারি বানাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরে ভুল তেলের প্রয়োগে হার্ট অ্যাটাক বা হাই কোলেস্টেরলের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নারকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. ডিমের পাশে যথাযথ খাবার রাখাটাও জরুরিহেলদি ডায়েটের পাশাপাশি ওজন কমানোর বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে কী খাওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়টিতে নজর দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে পালং শাক, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। হজমের ক্ষেত্রেও তেমন কোনও সমস্যা দেখা যায় না।
৪. বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা ঠিক নয়ওভারকুকিং ঠিক নয়। ডিমকে বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলে বা বেশি উষ্ণতায় ফোটালে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। এতে কিন্তু ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ডিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন A নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ডিম বেশি উষ্ণতায় ফুটলে অক্সিসটেরলস নামে একটি উপাদান উৎপন্ন হয়, যা হৃদযন্ত্রের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই ডিমকে অল্প আঁচে রান্না করাটাই শ্রেয়।
৫. ক্যালোরি কাউন্টে নজর দিতে হবেযদি ওজন কমাতে হয়, তা হলে ডিম কী ভাবে খাচ্ছেন, সেই বিষয়ে নজর দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে ক্যালোরি কাউন্টের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। তাই ডিমের পোচ বা ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত হয় না। আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও তেমন অসুবিধা হয় না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Weight Loss