#কলকাতা: মানুষের জীবনযাত্রায় যে বিষয়টি সব চেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা হল স্ট্রেস। মানুষের ক্ষেত্রে যেমন অতিরিক্ত স্ট্রেস হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর, ঠিক তেমনটাই হয় পশুদের ক্ষেত্রেও। কেন না, স্ট্রেস শরীরের কলকবজা বিগড়ে দেয়। মানুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজের চাপ, জীবনযাত্রার ধরন স্ট্রেসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। আর পশুদের ক্ষেত্রে? বিশদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন Practo-র সঙ্গে যুক্ত পশুচিকিৎসক প্রাচী ক্ষত্রিয়।
এই জায়গায় এসে একটা খটকা দেখা দিতে পারে। পোষ্যেরা সাধারণত বেশ আদর-যত্নেই থাকে। তাদের জীবনে পরিশ্রম সে ভাবে একটা হয় না। তাহলে পোষ্যদের ক্ষেত্রে স্ট্রেসের কারণ কী হতে পারে? প্রাচী জানিয়েছেন ,সাধারণত পোষ্যদের ক্ষেত্রে স্ট্রেসের নেপথ্যে থাকে বয়স বেড়ে যাওয়া, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসা, এমনকী আবহাওয়ার পরিবর্তনের মতো বাহ্যিক ব্যাপারও!
প্রাচীর দেওয়া তথ্য মোতাবেক ডোবারম্যান, ল্যাব্রাডর রিট্রিভার, বক্সার, গ্রেট ডেন, জার্মান শেফার্ড এবং মধ্যবয়স্ক কুকুরদের নানা রকম হার্টের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। কার্ডিয়াক ফেলিওর, হার্ট ভাল্ভ ইনসাফিসিয়েন্সি, পেরিকার্ডিয়াল ইফিউশন এবং আরও বেশ কিছু হার্টের সমস্যা দেখা যায়। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত ১০ শতাংশ অল্প বয়সের কুকুর এবং ৬৫ শতাংশ বয়স্ক কুকুর হার্টের সমস্যায় প্রাণত্যাগ করে থাকে। মালিক হয় সময়মতো ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না বা উপসর্গগুলো সম্পর্কে অবহিত থাকেন!
কী কী উপসর্গ পোষ্যদের হার্টের সমস্যা হলে হতে পারে, তার একটা তালিকা করে দিয়েছেন প্রাচী--
১. নিয়মিত কাশি
২. একটু হাঁটাচলা বা লাফঝাঁপ করেই ক্লান্ত হয়ে পড়া
৩. অনেকক্ষণ ধরে শুয়ে থাকা
৪. খিদে কমে আসা
৫. সিঁড়ি ভাঙতে অনীহা
৬. ঝিমিয়ে থাকা
৭. একা একা বসে থাকা
প্রাচী বলছেন, এই ৭টি লক্ষণ যদি নিজের পোষ্যের মধ্যে সনাক্ত করা যায়, তাহলে দেরি করলে চলবে না। এর অর্থ একটাই- বুকে চাপ পড়ছে বলে আদরের পোষ্যর জীবনযাত্রা আর আগের মতো সক্রিয় নেই। তাই পশুচিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত। রক্তপরীক্ষা এবং এক্স-রে, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফি প্রভৃতির মাধ্যমে তিনি বলে দিতে পারবেন, সমস্যা কোথায় হচ্ছে! সেই মতো সময় থাকতে থাকতে পোষ্যের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া যাবে!