#কলকাতা: সবটাই আদতে শরীর নামের এক যন্ত্রের খেলা! তার ভিতরে থাকা কোন কলকবজা কখন কী ভাবে কোন প্রতিক্রিয়ার মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয়, তা আগে থেকে বলা কখনই সম্ভব নয়। অন্য দিকে আবার ব্যক্তিবিশেষে সেই প্রতিক্রিয়ার ধরনও হয়ে থাকে আলাদা। এই একই কথা যৌনতার ক্ষেত্রেও খুব বেশি করে প্রযোজ্য। সেটাও তো শরীর থেকে নিঃসৃত হওয়া হরমোনের প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছু নয়! তাই কোন পুরুষ দিনের কতটা সময় ধরে যৌনটান অনুভব করতে পারেন, সেটাও হিসেব কষে বলা যায় না।
সাধারণ ভাবে সমষ্টিগত কিছু লক্ষণের উপরে ভিত্তি করে পুরুষের যৌন চাহিদা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোন সময়ে কতটা সক্রিয় থাকবে, তার একটা পরিসংখ্যান পেশ করা হয় বটে। একে বলা হয়ে থাকে সেক্সুয়াল ক্লক। কিন্তু সেই ঘড়ির হিসেবে এক পুরুষ ঘুম থেকে ওঠার পর তুমুল যৌনটান অনুভব করলেও অন্যজন যে করবেন, তার কোনও মানে নেই! ফলে, কারও মাথায় যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বক্ষণই যৌনচিন্তা ঘুরতে থাকে, সেটাকেও গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে হবে, সাফ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল।
পল্লবী এ ক্ষেত্রে নাম প্রকাশ না করে এক তরুণের কথা জানিয়েছেন। যে সব মহিলাদের শারীরিক গঠন খুবই আকর্ষণীয়, তাঁদের দিকে ওই তরুণ লজ্জায় তাকাতে পারেন না। তিনি লিখেছেন চিঠিতে- সব সময়েই তাঁর মাথায় যৌনচিন্তা ঘোরে। কাউকে শারীরিক ভাবে আকর্ষণীয় মনে হলে তাঁর কথা ভেবে স্বমেহনের মাধ্যমে নিজেকে শান্ত রাখতে বাধ্য হন তিনি!
এই জায়গায় এসে বিশেষজ্ঞার বক্তব্য- তরুণ বয়সে এ রকমটা হওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কেন না, সেই সময়ে যৌনবোধ খুব বেশি রকমের সক্রিয় থাকে, যৌনতা নিয়ে কৌতূহলও থাকে অপরিসীম। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে ভাবার কারণ রয়েছে। যদি সারাক্ষণ মাথায় যৌনচিন্তা ঘোরে, তা হলে অন্য কাজ স্বাভাবিক ভাবেই বিঘ্নিত হবে। আবার এই যে তরুণটি প্রতি দিন স্বেমহনের কথা জানিয়েছেন, পল্লবীর মতে তার অর্থ হল নিজেকে যৌন অবদমনের মধ্যে রাখা!
কিন্তু সব নারী যে যৌনপ্রস্তাবে সাড়া দেবেন, তার কোনও মানে নেই! অতএব যদি সুস্থ এক যৌন সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়, সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?
এর আগে পল্লবী এই বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে সেটা দেখে নেওয়া যেতে পারে!
আরও পড়ুন: কী করে বুঝবেন পরিচিত কেউ আপনাকে শারীরিক ভাবে চাইছেন? রইল বিশেষজ্ঞের টিপস মৈথুনের পরেই প্রচণ্ড ক্লান্তি, সঙ্গে সঙ্গে ঘুম কি স্বাভাবিক ? শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধেনি তো ? Pallavi Barnwal