হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
বিস্ময়কর সাফল্য করোনার চিকিৎসায়, রোগপ্রতিরোধী প্রোটিন ইনহেলার রোগীদের

বিস্ময়কর সাফল্য করোনার চিকিৎসায়, রোগপ্রতিরোধী প্রোটিন ইনহেলারে ভরে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের

শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আমাদের অনেকেরই মুশকিল আসান করে দেয় ইনহেলার।

  • Last Updated :
  • Share this:

#নয়াদিল্লি: শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আমাদের অনেকেরই মুশকিল আসান করে দেয় ইনহেলার। কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রধান উপসর্গও এই শ্বাসকষ্ট। তাই ইউনাইটেড কিংডমের কিছু চিকিৎসকের মনে হয় যে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত রোগীদেরও ইনহেলার দিয়ে চিকিৎসার করলে সুফল মিলতে পারে। সেই লক্ষ্যে তাঁরা শরীরের রোগপ্রতিরোধী এক প্রোটিনকে ওষুধকণায় রূপান্তরিত করে তা ভরে দেন ইনহেলারে এবং প্রয়োগ করেন করোনারোগীদের উপরে। ইউনাইটেড কিংডমের ন'টি হাসপাতালের রোগীদের উপরে চলা এই পরীক্ষা, যার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটর মেডিসিন জার্নালে, তা জানিয়েছে যে এই পদ্ধতিতে করোনার চিকিৎসায় অভাবনীয় সাড়া মিলেছে! ওই দেশের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তথা চিকিৎসকরাও সমর্থন জানিয়েছেন এই চিকিৎসাপদ্ধতিকে।

এই জায়গায় এসে কী ভাবে কাজ করছে এই বিশেষ ইনহেলার, তা একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। দেহে একবার প্রবেশের পর কোভিড ১৯ ভাইরাস নানা রকম ভাবে তার মারণ কার্যকলাপ শুরু করে। সে শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে বাধা দেয়, যার ফলে রোগপ্রতিরোধী প্রোটিন তৈরি হতে পারে না। অনেক সময়েই আবার এই ভাইরাস ওই রোগপ্রতিরোধী প্রোটিনের ছদ্মবেশ ধারণ করে, ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধপ্রণালী পড়ে যায় ধন্দে। আর এ সবের মাঝেই খুব দ্রুত রোগীর হৃদযন্ত্র, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রটিকে বিকল করে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয় এই ভাইরাস। পাশাপাশি, বেশ কিছু সাম্প্রতিক সমীক্ষার মতে এই ভাইরাস রক্তপরিবাহী নালিগুলির মধ্যে রক্ত জমাট করে তোলে, ফলে শরীরের সব অংশে অক্সিজেন পৌঁছয় না।

এই সব সমস্যার জন্যই রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করলেও আশানুরূপ উন্নতি দেখা যায় না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। তাই যাতে একেবারে সরাসরি শ্বাসযন্ত্রের উপরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, সেই লক্ষ্যে শরীরের রোগপ্রতিরোধী প্রোটিন ইন্টারফেরন বেটা-১এ ইনহেলারের মধ্যে ভরেছিলেন ইউনাইটেড কিংডমের চিকিৎসকেরা। এর পর ১৪ দিন ধরে তাঁরা বেশ কিছু রোগীর উপরে এক সমীক্ষা চালান। খবর মোতাবেকে ৯৮ জন রোগীকে এই ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল আর ৫০ জনের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়েছিল প্লাসেবো চিকিৎসাপদ্ধতি। ১৫ থেকে ১৬ দিনের মাথায় যে সব রোগীদের ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা সুস্থ হতে থাকেন। কিন্তু যাঁদের ক্ষেত্রে তা হয়নি, তাঁরা অধিকতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও ঘটে।চিকিৎসকরা বলছেন যে ইন্টারফেরন বেটা১এ ইনহেলারের মধ্যে দিয়ে শ্বাসযন্ত্রে সরাসরি গিয়ে এসএনজি০০১ নামে এক যৌগ তৈরি করছে যা ঠেকিয়ে দিচ্ছে করোনাভাইরাসের আক্রমণ।

Published by:Akash Misra
First published:

Tags: Coronavirus