#নয়াদিল্লি: বাড়ির সামনে এক ফালি বাগান। সেখানে নিজের হাতে তৈরি ‘প্রাণ’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফুটেছে রকমারি ফুল, মরশুমি শাকসবজি। সকালবেলা বাগানে এসে পড়েছে রোদ। মাটির সোঁদা গন্ধে ম-ম করছে চারদিক। এমন একটা বাগানের স্বপ্ন কে না দেখে!
তবে বাগান করা শুধু মানসিক তৃপ্তি যোগায়, তা কিন্তু নয়। এ হল মাটির সঙ্গে আত্মার সেতুবন্ধনের সাধনা। যা প্রকারন্তরে শরীরকে ভালো রাখে। বাগান করতে অনেকটা মনোযোগ এবং ধৈর্য দরকার হয়। মাটি তৈরি, সার দেওয়া, বীজ পোঁতা, জল দেওয়া, গাছেদের রক্ষণাবেক্ষণ- সব মিলিয়ে যেন একটা ধ্যান। যা শরীর এবং মনকে একসুতোয় বাঁধে। এখানে বাগান কীভাবে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে সেই নিয়ে আলোচনা করা হল।
সূর্যালোক: সূর্যের আলোয় ভিটামিন ডি আছে। এটা সবাই জানে। কিন্তু কে আর ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে সূর্যের আলোয় দাঁড়াতে যায়! বরং নানা কাজের ব্যস্ততায় ব্যাপারটা মাথাতেই থাকে না। বাগান করলে কিন্তু সেই সুযোগ এমনিই আসে। শরীরে সূর্যালোকের মাধ্যমে ভিটামিন ডি পৌঁছলে মুড ভালো থাকে, মানসিক স্বচ্ছতা আসে। তাছাড়া তাজা বাতাস মনকে এমনিই ফুরফুরে করে দেয়। বাগান করলে এই সব সুবিধা হাতের মুঠোয়।
আরও পড়ুন - তুমুল ঝগড়ার পর এইভাবে মিলন হবে আরও সুখকর, শরীরের চাহিদা বেড়ে যাবে তিনগুণ
প্রকৃতির সৌন্দর্য ছুঁয়ে যাবে মন: সারাদিন কাজের ব্যস্ততা, মন কষাকষি, ইঁদুর দৌড় চলতেই থাকে। এসবের মাঝে সময় বের করে একবার বাগানে এসে দাঁড়ালে মন ঘুরে যাবে ১৮০ ডিগ্রি। এটা হল প্রকৃতিকে ছোঁয়ার, চারপাশের সৌন্দর্যের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। প্রকৃতির সেই সৌন্দর্যের রঙে রাঙিয়ে উঠবে মনও। সমস্ত ক্লান্তি, অবসাদ, ভালো না লাগা কেটে যাবে মুহূর্তে। আসলে বাগান করা মানে তো বেড়ে ওঠা, ভালোবাসা যত্ন নেওয়া। নিজের জন্যও কিন্তু ঠিক এগুলোই দরকার।
তাজা খাবার: নিজের হাতে ফলানো শাকসবজির অন্য মাহাত্ম্য আছে। একে তো এতে বাজারের মতো রাসয়নিক নেই, পুরোটাই অরগ্যানিক। ফাইবার ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। তাই স্বাস্থ্যকর। তাছাড়া নিজের বাগানের সবজি রান্না করে খাওয়ার আনন্দ তারাই জানে যারা এটা করেছে।
পরিবেশবান্ধব বন্ধু: বাগান মানেই পাখি, প্রজাপতি, কেঁচো থেকে অন্যান্য ছোট প্রাণীদের ঘরবাড়ি। তাদের অপ্যায়নের জন্য ছোট জলের পাত্রের বন্দোবস্ত করা যায়। এটা শুধু মানসিক তৃপ্তি দেয় তাই নয়, প্রাণীজগতের সঙ্গে আত্মীয়তাও গড়ে তোলে।
আরও পড়ুন - পুরুষদের ক্ষমতা বাড়বে তড়তড়িয়ে, দুধের সঙ্গে এক চামচ মেশালেই বিছানায় উঠবে ঝড়
শারীরিক কসরত: বাগান করা কিন্তু এক ধরণের শারীরিক কসরতও বটে। মাটি খোঁড়া, বীজ পোঁতা, সার তৈরি করা, জল দেওয়ার জন্য খাটতে হয়। বাগানের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রাখতে হয়। ঘাম ঝরে। ফলে জিমে না গিয়েও শারীরিক কসরত হয়ে যায়।
শৈল্পিক সত্তা: নাচ, গান, ছবি আঁকা, লেখালেখির মতো বাগান করাও এক ধরণের আর্ট। এখানে শুধু প্রাণের জন্ম দিতে হয়। লালন পালন করে বজায় রাখতে হয় তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি। এটা শিল্প নয় তো কী!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mental Health