হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
শীতে বাতাসের গুণগত মান হবে আরও খারাপ, দূষণ থেকে বাঁচতে মানুন এই নিয়ম !

শীতে বাতাসের গুণগত মান হবে আরও খারাপ, দূষণ থেকে বাঁচতে মানুন এই নিয়ম !

photo source collected

photo source collected

শীতে তো বটেই, বিশেষ করে তাপমাত্রা কমলেই বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে।

  • Last Updated :
  • Share this:

শীতে তো বটেই, বিশেষ করে তাপমাত্রা কমলেই বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর ছোট-ছোট অত্যন্ত ক্ষতিকারক ধূলিকণা আমাদের শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে। পাশাপাশি বাতাসে উপস্থিত ধোঁয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাবে অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানিসহ একাধিক রোগ হতে পারে। কিন্তু রোজকার এই যানবাহন, কলকারখান তথা মনুষ্যসৃষ্ট দূষণ থেকে পালিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সচেতন হতে হবে। দূষণ থেকে বাঁচতে হবে। কী ভাবে, জেনে নেওয়া যাক বিশদে।

সম্প্রতি ‘Chemical and Engineering News’ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা হয়েছে। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা জানাচ্ছেন, শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সকলের শরীরেই বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। এটি ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, আবার দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। বায়ুদূষণের জেরে ডিমেনশিয়া, অটিজমসহ নানা ধরনের নিউরোলজিকাল ডিজঅর্ডার দেখা যায়। এর পাশাপাশি অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানিসহ একাধিক রোগও হতে পারে। এমনকি বায়ুদূষণের প্রভাবে অন্তঃসত্ত্বার শরীরেও নানা সমস্যা হয়। এর জেরে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে, নানা তথ্য দিয়েছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ুদূষণ তথা বাতাসের গুণগত মান হ্রাস পাওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ুষ্কালের আগেই বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য ভয়ঙ্করভাবে দায়ি ইনডোর পলিউশনও।

WHO-র মতে বায়ুদৃষণের জেরে অসুস্থ হওয়া ও মৃত্যুর একটি দীর্ঘ পরিসংখ্যান রয়েছে। যা বলছে- সমস্ত রোগ ও মৃত্যুর ২৯ শতাংশই ফুসফুসে ক্যানসারের জেরে হয়। এর কারণ বায়ুদূষণ।বায়ুদূষণের জেরে অ্যাকিউট লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশন হয়। বিশ্বে মোট মৃত্যু ও রোগের ১৭ শতাংশই এই পরিস্থিতির শিকার।

স্ট্রোকে মোট মৃত্যুর ২৪ শতাংশের পিছনে রয়েছে বায়ুদূষণ।বায়ুদূষণের জেরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ হয়। বিশ্বে মোট মৃত্যু ও রোগের প্রায় ৪৩ শতাংশই এই রোগের শিকার।

তাই এই ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই নির্দিষ্ট নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি:১. প্রতি দিন বাড়ির বাইরে বেরনোর আগে একবার আবহাওয়ার রিপোর্টের পাশাপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রাটাও জেনে নিতে হবে। যদি সকাল-সকাল ধোঁয়াশা বা দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির খবর থাকে, তা হলে শরীরচর্চার জন্য বাইরে কোনও রাস্তায় বা পার্কে না যাওয়াই ভালো!২. যে সব জায়গায় হাই ট্র্যাফিক রয়েছে, সেই এলাকাগুলি থেকে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়। প্রয়োজনে ফাঁকা জায়গায় সাইকেল চালানো যায়। এ ক্ষেত্রে গাড়ি থেকে নির্গত দূষিত ধোঁয়া শ্বাসযন্ত্রে পৌঁছবে না।৩. বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী যে কোনও এনার্জি সোর্স থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতে এই জাতীয় কোনও যন্ত্র থাকলে, তা ব্যবহার করা কমাতে হবে। সেই জায়গায় এমন কিছু আসবাবপত্র ও জিনিস ব্যবহার করতে হবে, যা জ্বালানি বা শক্তি পুনর্নবীকরণে সাহায্য করে। এর জেরে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন রোধের পাশাপাশি বাতাসের দূষণের মাত্রাও কমবে।৪. ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঘরের মধ্যে কাঠ জ্বালানো চলবে না।৫. ঘরের মধ্যে ধূমপান না করাই শ্রেয়।

Published by:Piya Banerjee
First published:

Tags: Air Pollution, Lung Cancer, Poor Air Quality