#কলকাতা: সিগারেট সুখটান। এই দুই শব্দের রোম্যান্সে ভেসে নেশায় ডুব দেন অনেকেই। পরিণাম হয় ভয়ঙ্কর। নিকোটিনের প্রভাবে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ফুসফুস। এই নিকোটিন এক ধরনের রাসায়নিক। শুধু সিগারেট নয়, সমস্ত রকমের তামাকজাত দ্রব্যেই এর সরব উপস্থিতি, এমনকী ই-সিগারেটেও। শরীরের উপর একাধিক প্রভাব ফেলে নিকোটিন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, অন্ত্রের কার্যকলাপ বৃদ্ধি, লালা এবং কফ উৎপাদন বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং খিদে কমে যাওয়া।
নিকোটিনে আসক্ত হয়ে পড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুতর। হৃৎপিণ্ড, প্রজনন ব্যবস্থা, ফুসফুস এবং কিডনির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে নিকোটিন। কার্ডিওভাসকুলার, শ্বাসযন্ত্র এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধিগুলির ঝুঁকি বাড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, শরীরের একাধিক অঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
নিকোটিন অ্যালার্জির লক্ষণ: বিড়ি, সিগারেটের ধোঁয়ায় কিংবা তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করলে অনেক সময় মাথাব্যথা, হাঁচি, কাশি, ফুসকুড়ি, চোখে জল, সর্দি হয়। এমনটা হলে বুঝতে হবে নিকোটিনে অ্যালার্জি রয়েছে।
আরও পড়ুন- 'সিদ্ধান্ত জানান', উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে শিশির-দিব্যেন্দুকে চিঠি তৃণমূলের
এনআরটি: তামাকজাত দ্রব্যের নেশা ছাড়াতে নিকোটিন প্রতিস্থাপন থেরাপি বা এনআরটি করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, থেরাপি চলাকালীন অনেকেই নিকোটিন অ্যালার্জির শিকার হন। এই থেরাপিতে যে সিগারেট বা তামাক দেওয়া হয় সেগুলো অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ছাড়াই নিকোটিন সরবরাহ করে। এই থেরাপিতে প্যাঁচ, গাম, ন্যাসাল স্প্রে এমনকী ইনহেলারও দেওয়া হয়।
গুরুতর নিকোটিন অ্যালার্জির লক্ষণ: নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে, মুখ-জিভ-ঠোঁট-গলা ফুলে যাওয়া কিংবা আমবাতের মতো লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এগুলো গুরুতর নিকোটিন অ্যালার্জির লক্ষণ। এছাড়া নিকোটিনের গুরুতর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এর মধ্যে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, বুকে ব্যথা এবং খিঁচুনি অন্যতম।
আরও পড়ুন- গত ৩০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা! হড়পা বানে পাকিস্তানে মৃত ৫৫০ মানুষ
ট্রান্সডার্মাল নিকোটিন প্যাচ অ্যালার্জি: যদি কেউ প্যাচের আকারে এনআরটি থেরাপি নেয় যা নিকোটিনের একটা নির্দিষ্ট ডোজ দেওয়া হয়, তাহলেও অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে। ত্বকে লালভাব, চুলকানি, জ্বালাভাব, ফোলা দেখা দিতে পারে।
নিকোটিনের ওভারডোজ: কখনও কখনও শরীরে বেশি মাত্রায় নিকোটিন গেলে অ্যালার্জির লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে পেট ব্যথা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, খিঁচুনি, বমি বমি ভাব এবং বমি অন্যতম।
নিকোটিন অ্যালার্জির চিকিৎসা: সবচেয়ে ভাল হয় নিকোটিন নেওয়া ছেড়ে দিলে। এটাই অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তামাকজাত দ্রব্য পরিহার এবং তামাকের ধোঁয়াযুক্ত স্থান এড়িয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে সার্জিকাল মাস্ক পরার কথা ভাবা যেতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Smoking