কলকাতা: এটা ঠিক যে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা নিয়ে যত লেখালিখি হয়, ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা নিয়ে তার সিকিভাগের একভাগও হয় না! তা বলে, ছেলেরা যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায় না, এমনটা কিন্তু কখনই নয়। তাই জনৈক পাঠক যখন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়ালকে আলোকপাত করতে অনুরোধ করলেন, তিনি নতুন করে কলম ধরলেন!
এর আগে এক লেখায় পল্লবী আলোকপাত করেছিলেন বয়ঃসন্ধির সময়ে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে। সত্যি কথা বলতে কী, ছেলে এবং মেয়ে, দুই পক্ষের ক্ষেত্রেই বয়ঃসন্ধির মূল প্রভাবটা পড়ে শারীরিক পরিবর্তনে। এই সময় থেকেই ধীরে ধীরে বড়দের জগতে সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে তারা, যাদের এতদিন সমাজ শিশুর দলভুক্ত করে রেখেছিল। ফলে, এই পরিবর্তন মানসিক দিক থেকেও একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসে। ছেলেদের ক্ষেত্রে কী হয়, তা এই পর্বে বুঝিয়ে দিচ্ছেন পল্লবী।
১. ছেলেদের বয়ঃসন্ধির সব চেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হল শরীরে রোমের পরিমাণ বৃদ্ধি। এই সময় থেকে দাড়ি-গোঁফ তৈরি হতে শুরু করে। বুক, যৌনাঙ্গের চারপাশ, উরুর চারপাশ, বুক, হাত, পা রোমশ হয়ে ওঠে। হরমোনের পরিবর্তন এবং প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়ে থাকে।
২. হরমোনের এই প্রতিক্রিয়ায় অনেকের মুখ ছেয়ে যায় ব্রনতে। বলা বাহুল্য, সেটা ছেলেদের কাছে খুব একটা সুখের অভিজ্ঞতা নয়। এমনকি, শরীর রোমশ হয়ে ওঠার ব্যাপারটার সঙ্গেও অনেকের মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞা। অনেকে ভয়ও পায়, লজ্জিত বোধ করে, ঠিক যেমনটা প্রথমবার ঋতুস্রাব হওয়ার পর অনেক মেয়েদের সঙ্গে হয়ে থাকে।
৩. এর ঠিক পরেই আসে কণ্ঠস্বরে পরিবর্তনের প্রসঙ্গ। এই সময় থেকে ছেলেদের কণ্ঠনালীর একটা হাড় স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যার দরুণ কণ্ঠস্বর বদলে যায়। পল্লবী বলছেন, এই ব্যাপারটাও অনেক ছেলেকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে রাখে।
৪. বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই পুরুষাঙ্গ পূর্ণ রূপ পেতে শুরু করে। ফলে এই সময়ে অনেক ছেলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটি আবিষ্কার করে, অনেকে আবার স্বপ্নদোষের সম্মুখীন হয়। কারও ব্যাপারটা ভালো লাগে, কারও বা প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। তাই পল্লবীর পরামর্শ- এই সময়টায় সন্তানের সঙ্গে একটু বিচক্ষণের মতো ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়!
Pallavi Barnwal