#কলকাতা: বিজ্ঞানে প্রমাণিত, পিঁপড়েরা আগে থেকেই বুঝতে পারে, বৃষ্টি আসছে! কাজেই, আগেভাগে খাবার সংগ্রহ করে বাসায় জমিয়ে রাখে! যখনই দেখবেন মুখে খাবার নিয়ে সার দিয়ে পিঁপড়ের মিছিল চলেছে, বুঝবেন বৃষ্টি এল বলে! আর বর্ষাকালে পিঁপড়ের উপদ্রবে নাজেহাল অবস্থা হয়! কীটনাশক বা ‘পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস’-এর সাহায্যে পিঁপড়ের হাত থেকে নিস্তার মেলে ঠিকই, তবে এগুলোতে নানারকম কেমিক্যাল থাকে! ফলে, নিয়মিত ব্যবহারে পোকামাকড় নিধন হয় ঠিকই, কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যেরও বারোটা বাজে! তারচেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে পিঁপড়ের মোকাবিলা করুন! কোনও সাইড এফেক্ট নেই, অথচ ফল পাবেন হাতেনাতে--
১) আলমারি বা দরজার চারপাশে দারুচিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে দিলে সেখানে পিঁপড়ে বাসা বাঁধতে পারে না। ভাল কাজ দেয় লেবুর রসও। এর অ্যাসিডিক বা অম্লীয় উপাদান পিঁপড়ের ঘ্রাণশক্তিতে ঝামেলা বাধায়। এককাপ জলে একটা আস্ত লেবুর রস মিশিয়ে স্প্রে-বোতলে ভরে ঘরের কোণায় স্প্রে করুন। পিঁপড়ে পালাবে!
২) যে রাসায়নিক সংকেতের উপর নির্ভর করে পিঁপড়ে খাবার বা নিজের বাসার রাস্তা খুঁজে বের করে, সেই সংকেত নষ্ট করে লাললঙ্কাগুঁড়োর গন্ধ। কাজেই, পিঁপড়ের বাসা বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সব জায়গায় লাললঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে রাখুন। পিঁপড়ে বাসা বাঁধবে না!
৩)পিপারমিন্ট প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে কাজ করে। পিঁপড়েকে খাবারের উৎস খুঁজে পেতে বাধা দেয়।
৪) ২ কাপ জলে কয়েকটা পুদিনা-পাতা সেদ্ধ করে নিন। ঠাণ্ডা হলে, ঘরের যে-সমস্ত জায়গায় পিঁপড়ে বাসা বেঁধেছে, সেখানে ছিটিয়ে দিন। পিঁপড়ের চিহ্নও আর খুঁজে পাবে না! হোয়াইট ভিনিগারের তীব্র গন্ধও পিঁপড়ের ঘ্রাণশক্তি দূর্বল করে, ফলে পিঁপড়ের দিক-নির্দেশন করার ক্ষমতা কমে যায়।
৫) আধ কাপ জলে ভিনিগার মিশিয়ে, স্প্রে বোতলে ভরে পিঁপড়ের বাসায় ছিটিয়ে দিন! মুহূর্তে পিঁপড়ে গায়েব!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Drive off ants, Happy home, Healthy life, Home remedies, Lifestyle story, Natural ant reppellant, Pest control