শীত আসছে। বৃষ্টি, গরম পেরিয়ে এ বার ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে এইসময় আচমকা ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর-জ্বর ভাব, কফ-কাশিসহ একাধিক সমস্যা দেখা যায়। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে নানা ভাইরাল জ্বরও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। যার জেরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঠাণ্ডা লাগা বা কফ-কাশিও কমবে। আর এই ঘরোয়া উপায় বাতলাচ্ছে আয়ুর্বেদ।
প্রথমেই জানা দরকার কী ভাবে কাজে দিতে পারে আয়ুর্বেদ পদ্ধতি! বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের জেরে শরীরের উপর কী কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে। শুধু ওষুধ নয়, ঋতুভেদে জীবনধারা, খাদ্যাভাস, রান্নার ধরন, জলপানের নিয়ম নিয়েও নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই প্রাচীন শাস্ত্রে। আর সেই সূত্র ধরে ঠাণ্ডা লাগা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা বলা হয়েছে।
১. এই সময়ে অত্যন্ত কার্যকরী অশ্বগন্ধা - অশ্বগন্ধার ভেষজ গুণ সম্বন্ধে নতুন করে কিছু বলার নেই। শরীরে কোনও ভাইরাসের আক্রমণ হোক কিংবা কফ-কাশি, সর্দি- সমস্ত ক্ষেত্রেই দারুণ কাজে দেয় অশ্বগন্ধা। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত অশ্বগন্ধা খাওয়া যেতে পারে। কারও যদি সর্দি-কাশি হয়, তা হলে দিনে তিনবার করে পরিমাণমতো অশ্বগন্ধা খাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার পাউডার বা ট্যাবলেট দুই কার্যকরী। ক্রনিক স্ট্রেস কমাতেও কাজে দেয় অশ্বগন্ধা।
২. কানের গোড়ায় তেল মালিশ - আয়ুর্বেদ বলছে, এই সময় ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে কানের আশেপাশে ভালো করে তেল মালিশ করা যায়। এ ক্ষেত্রে সব চেয়ে ভালো সরষের তেল বা তিলের তেল। নানা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকেও বাঁচাতে পারে এই আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি। তাই রাতে ঘুমোনোর আগে, স্নানের আগে সময় করে কানের গোড়ায় ও চারপাশে ভালো করে তেল মালিশ করে নেওয়া যেতে পারে। এতে উপকার মেলে।
৩. কাজ দিতে পারে হলুদ - রান্নাঘরের এই মশলার কিন্তু একাধিক ভেষজগুণ রয়েছে। এর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। বহুকাল ধরেই নানা রোগের প্রতিকার হিসেবে হলুদের ব্যবহার করা হয়েছে। যদি খুব ঠাণ্ডা লাগে বা সর্দি-কাশি হয়, তা হলে হলুদ বেটে পেস্ট তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে মধু হলে আরও ভালো হয়। শরীরে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিনের অভাব পূরণ করে হলুদ। হলুদের এই পেস্টে ঘি, গোলমরিচ, মিছরি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে এই পেস্টের উপকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
৪. নির্দিষ্ট সময় অন্তর শরীরে তেল মালিশ - প্রাচীন আয়ুর্বেদশাস্ত্রের মতে, আমাদের ত্বকে একাধিক সংবেদনশীল নিউরোন রয়েছে। এই নিউরোনগুলির সাহায্যে শরীরে স্বাভাবিক ভাবেই ডিটক্সিফিকেশনের কাজ চলে। এ ক্ষেত্রে রুটিন মেইনটেইন করে শরীরে তেল মালিশ করা যেতে পারে। এটি পুরো স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন ক্রনিক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়তেও ক্ষমতা জোগায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ayurvedic, Cold, Flu, Home Remedies, Winter