প্রথমেই দেখতে হবে আপনার সত্যি সত্যি ঘুম পেয়েছে কি না। ক্লান্তি এসে আপনাকে ঘিরে ধরেছে কি না। রাতে অফিসের কাজ সেরে যখন আপনি বিছানার দিকে যাওয়ার জন্য একান্তই ইচ্ছুক, তখনই বিছানায় যান। তাহলে ঘুম আসে। স্বাভাবিক নিয়মে রিল্যাক্স করা দরকার। রাতে ঘুমানোর সদ্য আগে কোনও ভারি কাজ না করাই ভাল। সকালে ওঠার পর থেকে ভারি কাজ করুন। কিন্তু রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা কাজ করুন। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। বই পড়তে পারেন, হালকা গান শুনতে পারেন। তাতে সহজে ঘুম আসবে। আর ক্লান্তিও আসবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন, রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার চারঘণ্টার মধ্যে ওয়ার্ক আউট করবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। হতে পারে, ওয়ার্ক আউট করার জন্য আপনার হয়ত ঘুমই আসবে না।
ভাল ঘুমের জন্য দরকার এটাও মাথায় রাখা যে আপনি সহজপাচ্য খাবার খাচ্ছেন কি না। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্যাফাইন জাতীয় জিনিস খাবেন না। খালি পেটে ঘুমোতে যাবেন না। খুব রিচ খাবার খাওয়া হলে একটু সময় নিয়ে তারপর ঘুমোবেন। অবশ্য রাতে বেশি রিচ খাবার না খাওয়াই মঙ্গল। ঘুমকে প্রাধান্য দিতে শিখুন। মনে রাখবেন আর পাঁচটা কাজের মতো ঘুমও আপনার দরকার। শরীর একটি যন্ত্রের মতো। আর সেই যন্ত্রের নিয়মিত বিশ্রাম প্রয়োজন। সেই বিশ্রামটুকু না হলে যন্ত্র বিগড়ে যাবে। তাই না ঘুমিয়ে কাজ করলে ক’দিন পর থেকে একদমই কাজ করতে পারবেন না। তাই ঘুম নিয়মিত ও পরিমাণ মতো হওয়া দরকার। সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ঘুমের একঘণ্টা আগে থেকে স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার, টিভির থেকে দূরে থাকলে ভাল হয়। এগুলো থেকে যে নীল আলো ছড়ায় তা ঘুমোতে দেয় না।
কম ঘুম হলে তা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহু বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। রাতের পর রাত যদি পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হয় - তাহলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ঘুম কম হলে তা আপনার আয়ুও কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নিশ্চিত করুন যেন প্রতি রাতে আপনার সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।