গোটা দেশে প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। ডায়াবিটিসের কারণে শরীরে অন্যান্য রোগ সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। কিন্তু তবুও বেশ কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণ করলে আয়ত্তে আসতে পারে ডায়াবিটিস। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপন ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। ডায়েটে বেশি করে প্রোটিন, ও ফাইবার যুক্ত করে কার্ব ও সুগারের পরিমাণ কমালে রোগী অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ডায়াবিটিসকে।
ডায়েটে বিশেষ ধরনের রুটি যুক্ত করলেও ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে সাধারণত যে আটা ময়দার রুটি খাওয়া হয় তার থেকেও স্বাস্থ্যকর কিছু রুটি রয়েছে যা সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী-
রাগি আটার রুটি- রাগি আটায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভর্তি রাখতে পারে। ফলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা বা ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। যার জন্য ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। তাই রাগির আটার রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
আমড়ান আটা অ্যান্টি-ডায়াবিটিক হিসেবে পরিচিত। তাই এই ধরনের আটা দিয়ে রুটি বানিয়ে দিতে পারেন ডায়াবিটিসের রোগীকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, প্রোটিন ও ভিটামিন থাকে, যা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
বার্লির রুটি- বার্লি রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় বহু দিন আগে খেকেই। এতে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। নানা রকমের রোগ থেকেই দূরে রাখতে সাহায্য় করে বার্লি। তাই ডায়াবিটিসের রোগীকে অনায়াসেই বার্লির রুটি দেওয়া যেতে পারে।
ছোলার আটা- এই ধরনের আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যও এটি উপকারী।