#কলকাতা: দোড়গোড়ায় শীত। একদিকে ওয়েদার চেঞ্জ, অন্যদিকে তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়া একাধিক রোগ নিয়ে আসে। এমন সময়ে সর্দি-কাশি বা জ্বরের মতো সাধারণ অসুখগুলি থেকে বাঁচতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু শীতকালে যে রোগ বা উপসর্গ আমাদের অজান্তেই ভোগায়, সে সব থেকে বাঁচতে তেমন কোনও সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হয় না। যেমন হাইপোথাইরয়ডিজম বা সহজ করে বললে থাইরয়েড। কারও হাইপোথাইরয়ডিজম থাকলে, শীতকালে তা ভোগাতে পারে অনেক বেশি।
একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন বা TSH শীতকালে বেড়ে যায়। অর্থাৎ শরীরে যে পরিমাণ হরমোনের প্রয়োজন থাইরয়েড গ্ল্যান্ড তা সরবরাহ করে না। তাছাড়াও উৎসবের মরশুম শেষে শীতকাল এলে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। ডিপ্রেশনেও চলে যেতে পারেন অনেকে। যার ফল TSH বেড়ে যাওয়া। তাই শীতকাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুস্থ থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
*TSH পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া: প্রতি দু'থেকে তিন মাস অন্তর হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে সিজন চেঞ্জের সময় ও শীতকাল পড়ার শুরুতে। শীত পড়লে আমাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু হাইপোথাইরয়ডিজমের জন্য থাইরয়েড গ্ল্যান্ড হরমোন নিঃসরণ করে না। ফলে এই সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভালো। অনেক সময়ে শীতকালে থাইরয়েডের ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দেন চিকিৎসকরা।
*রোদ পোহানো: কথায় আছে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকলে মন ভালো হয়ে যায়। এ কথা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণিতও। রোদ-ঝলমলে আকাশ বা সবুজের মাঝে থাকলে মন ভালো থাকে। শীতকালে তাই বেশি সময় রোদে থাকলে ডিপ্রেশন কম হবে। থাইরয়েডের মাত্রাতেও তারতম্য হবে না। তা ছাড়াও সূর্যরশ্মি সেরোটোনিন লেভেল ঠিক রেখে সিজনাল এফেক্টিভ ডিজঅর্ডার প্রতিরোধ করবে।
*বারবার খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ন্ত্রণে রাখা: হাইপোথাইরয়ডিজমে ভোগা কারও ক্ষেত্রেই প্রসেসড ফুড খাওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু শীতে বারবারই কফি, চকোলেট বা এই ধরনের জিনিস খেতে ইচ্ছে করে। যা খেলে শরীরে TSH-এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়াও জাঙ্ক ফুড, অয়েলি ফুড বা বার বার বাইরে থেকে আনা খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এ সব খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। ওজন বাড়লে হাইপোথাইরয়ডিজম সমস্যা করবে। তাই এই সময়ে প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
*থার্মোজেনিক খাবার: হাইপোথাইরয়ডিজম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই ডায়েটে বদল আনা উচিৎ। থার্মোজেনিক খাবার অর্থাৎ ক্যালোরি বার্ন করে এমন খাবার খেলে ভালো। মরিচ, অ্যাভোকাডো, যে কোনও মাংস বা এই ধরনের থার্মোজেনিক ফুডস শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে শীতে এগুলো খেলে শরীর গরম থাকে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
*ওয়র্ক-আউট: থাইরয়েড যাঁদের রয়েছে, তাঁদের প্রতি দিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ওয়র্ক-আউটের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যেহেতু হাইপোথাইরয়ডিজমে মেটাবলিসম কমে যায়, তাই ওয়র্ক-আউটে তা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। হার্ড ওয়র্ক-আউট না করে ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস করলেও সুফল মিলতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।